বাংলা হান্ট ডেস্ক : শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) ডুবেছে, পাকিস্তানের (Pakistan) গলা পর্যন্ত ধার, একই পথে বাংলাদেশ (Bangladesh) চিনের ঋণের জালি জড়িয়ে সর্বস্ব খোয়ানো দেশের বেশ লম্বা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে ভারতের আর এক পড়শি দেশ নেপাল। চিনের (China) থেকে নেপাল (Nepal) ঋণ নিয়েছিল ২০১৪ সালে। এখনও পর্যন্ত তার বোঝা বয়ে চলেছে দেশটি। প্রতি বছর ৬০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে নেপালের।
চিন থেকে ছয়টি বিমান কিনে বিরাট লোকসানের মুখে পড়েছে নেপাল। ছয়টি উড়োজাহাজই এখন অকেজো এবং পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। নেপালের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে সেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে এই বিমানগুলো কেনা হয়। তার মধ্যে একটি বিমান নেপালগঞ্জে ধ্বংস হয়ে গেছে। বাকি পাঁচটির মধ্যে দুইটি ১৭ আসনের ওহাই-১২-ই এবং তিনটি ৫৬ আসনের এম-এ-৬০ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে নেপালের ভুবনেশ্বর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এই পাঁচটি বিমানের জন্য ২০১২ সালের নভেম্বরে নেপালের সরকারি বিমান সংস্থা নেপাল এয়ারলাইনস করপোরেশন চিনের অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন অব চায়না নামে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক চুক্তি সই করে। সে সময় এগুলো কেনার জন্য চিন নেপালকে ৪০৮ মিলিয়ন চাইনিজ ইউয়ান বা ৬.৭ বিলিয়ন নেপালি রুপি ঋণও দেয়।
ঋণের মোট অংকের প্রায় ১৮০ মিলিয়ন ইউয়ান বা ২.৯ বিলিয়ন নেপালি রুপি খরচ হয় শুধুমাত্র একটি ১৭ আসনের ওহাই-১২-ই এবং একটি ৫৬ আসনের এম-এ-৬০ বিমান কিনতেই। বাকি বিমানগুলো কিনতে চীনের এক্সিম ব্যাংক নেপালকে লোন দেয় করে প্রায় ২২৮ মিলিয়ন ইউয়ান বা ৩.৭২ বিলিয়ন নেপালি রুপি।
বিমানগুলো নেপালে পৌঁছানোর কিছুদিনের মধ্যেই এনএসি কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে এই বিমানগুলো কেনার থেকেও বেশি ব্যয়বহুল এগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা। ফলে ২০২০ সালের জুলাইয়ে এই বিমানগুলো চালানো বন্ধ করে দেয় নেপাল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। আপাতত থেকে এগুলো অবহেলিতভাবেই পড়ে আছে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। কিন্তু ঋণের টাকা নেপালকে গুনে যেতে হচ্ছে বছরের পর বছর। আর তাতেই নাভিশ্বাস উঠেছে পাহাড়ি রাষ্ট্রের।