বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চাকরি বাতিল! এই নিয়ে আগেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ধর্না মঞ্চ থেকেও তার গলায় শোনা গেল একই সুর। প্রসঙ্গত, বুধবার কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থের দাবি নিয়ে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল সুপ্রিমোর দুদিনের ধর্নার শেষ দিন ছিল কাল।
অন্তিম দিনের ধর্না মঞ্চ থেকেই চাকরি বাতিল (Job Loss) নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন সন্ধ্যায় ধর্না শেষ করার আগে তিনি বলেন, ‘‘দু’ঘণ্টায় চাকরি ছাঁটাই! আমরা যাতে চাকরি দিতে না পারি। অনেক চাকরি রেডি করে রেখেছিলাম। কখনও বলছে দু’হাজার লোকের চাকরি ছাঁটাই। কখনও বলছে পাঁচ হাজারের। কখনও বলছে দু’ঘণ্টার মধ্যে সিবিআই অফিসে যাও! দু’ঘণ্টার মধ্যে টাকা ফেরত দাও!’’
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে জোর চৰ্চা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী নির্দিষ্ট করে কারও নাম বলেননি তবুও ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, বিগত কিছুমাস ধরে কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়ার একের পর এক চাকরি বাতিলের নির্দেশের প্রতিই মুখ্যমন্ত্রীর এই অসন্তোষ। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য।
কয়েক মাস থেকে শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় একের পর এক শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের নাম উঠে এসেছে। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পর্ষদ সভাপতি, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সহ বহুজনা। এই নিয়েই রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসকদল।
প্রসঙ্গত, গতবছর মে মাস থেকে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশের কন্যা অঙ্কিতাকে দিয়ে ফিতে কাটা হয় চাকরি বাতিলের। ২০২২ পেরিয়ে বর্তমানে ২৩, এখনও লাগাম পড়েনি চাকরি বাতিলে। যদি একটা হিসেব করা যায় তবে গতবছর থেকে আজ পর্যন্ত কমবেশি চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ৫০০০ চাকরিপ্রার্থী। এই নিয়ে আগেও মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, আর এবার ফের তার মন্তব্যে উঠে এল আক্ষেপ-অসন্তোষ।