বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার রামনবমীর (Ramnavami) ধর্মীয় মিছিল ঘিরে রক্তাক্ত হয়ে ওঠে হাওড়া শিবপুরের একাংশ। আজও সেই এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। ঘটনার তিন দিন পর রবিবার অশান্ত এলাকা পরিদর্শনে হাওড়ার (Howrah) শিবপুরে যেতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। সেই নিয়েই শুরু রাজনৈতিক তরজা।
সূত্রের খবর, এদিন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলেন সুকান্ত। তবে যাত্রাপথেই ঘটে বিপত্তি। বিজেপি নেতার অভিযোগ, দ্বিতীয় হুগলির কাছেই তার কনভয় আটকে দেয় রাজ্য পুলিশ। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুকান্তবাবু। পুলিশের নির্দেশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় কাওকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
অভিযোগ, কাজিপাড়ায় আহত কর্মী ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে সাংসদকে বাধা দেয় পুলিশ। এরপর পুলিশকে পাল্টা সুকান্ত বলেন, “অরূপ রায়কে কেন যেতে দেওয়া হয়েছিল? তার কাছে কি অতিরিক্ত সাংবিধানিক ক্ষমতা রয়েছে? আমার যাওয়ার জন্য যদি পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে মন্ত্রীর ক্ষেত্রে নয় কেন?”
সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ”পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট। পুলিশ কেন শাসক দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্টতা করছে তা সিপি কাছে জানতে চাইব।” বহু কথা কাটাকাটির পর অবশেষে পুলিশ সুকান্তকে যাওয়ার অনুমতি দেয়। এরপর সেদিনের ঘটনায় আহত অঙ্কিত রানা এবং গৌরব দাসের সঙ্গে দেখা করতে যান সুকান্ত। তার আগে শীতলা মন্দিরেও পুজো দেন তিনি।
যদিও সুকান্তর পক্ষপাতদুষ্টের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। তাদের দাবি, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় প্রশাসনিক কর্তা হিসেবে সেখানে গিয়েছেন।তিনি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে যাননি। অন্যদিকে, গোটা এই ঘটনার দিকে নজর রাখছে রাজভবন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি সেলও গঠন করা হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। পুলিশ তাদের কাজ করছে।’ প্রসঙ্গত, এদিন বামেদের তরফেও হাওড়ায় শান্তি মিছিল করার কথা ছিল, তবে পুলিশ অনুমতি দেয়নি।