বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল সন্ধ্যায় কলকাতায় আসার পথে গুলিতে ঝাঝরা হয়ে মৃত্যু হয়েছে অবৈধ কয়লা কারবারে অভিযুক্ত রাজু ঝার (Raju Jha)। বিজেপির (BJP) সদস্য রাজুর শ্যুটআউট ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই আবহেই এবার মৃতের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা স্মরণ করলেন তৃণমূল নেতা অর্জুন সিং (Arjun Singh)।
শনিবারের ভয়ানক শ্যুটআউটের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেন তৃণমূল নেতা। মৃতকে ভাই বলেও সম্বোধন করলেন অর্জুন সিং। বললেন, “রাজু আমার ছোট ভাইয়ের মতো।” ‘কয়লা মাফিয়া’ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের পরই জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, শনিবার ৮টা নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের আমড়া মোড়ের কাছে একটি সাদা চারচাকা গাড়ি ল্যাংচা হাবে দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়ির ভেতরে সেই সময় আসানসোলের কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাঁ সহ ৪ জন ছিলেন। তখনই একটি নীল গাড়ি করে কয়েকজন যুবক এসে তাঁর ওপর গুলিবৃষ্টি করে। মোট ৭টি গুলি লাগে রাজুর গায়ে। আরও এক জন গুলিতে জখন হন। দু’জনকেই বর্ধমানের অনাময় হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা রাজুকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজু ঝা খুনের পর থেকেই একাধিক তথ্য সামনে উঠে আসে। শক্তিগড়ের শুটআউটের সঙ্গে উঠে আসে কয়লা পাচার, গরুপাচারের যোগ। সূত্রের খবর, ইলামবাজার গরুহাটের প্রদান কর্যকর্তা আবদুল লতিফের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল নিহত রাজুর। শনিবার সন্ধেয় সেই আবদুল লতিফের গাড়িতেই খুন হন রাজু। কে বা কারা নৃশংসভাবে খুন করল রাজুকে! সেই নিয়েই দানা বাঁধছে রহস্য।
অন্যদিকে, এদিনই রাজু মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজু ঝা একজন বড় ব্যবসায়ী বটে, যেভাবে হাইওয়ের উপরে তাকে খুন করা হয়েছে পশ্চিমবাংলার আইন শৃঙ্খলা কোথায় যাচ্ছে সেটা চিন্তার বিষয় হয়ে গিয়েছে। আমরা সরকারে না এলে তা বাকিদের ক্ষেত্রেও চিন্তার বিষয় হবে।”
এরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “অনেকে ভাবছে রাজু ঝাঁকে জেরা করলে অনেক তথ্য বেরিয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সংস্থা অনেক কিছু জেনে যাবে। সিবিআই – ইডি অনেক ওপর পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।”