রাম নবমীতে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে হিংসার রিপোর্ট চাইল আদালত! রাজ্যকে জমা করতে হবে CCTV ফুটেজও

বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাম নবমীকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েকদিন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় অশান্তির ছবি (Clashes in West Bengal) দেখা গেছে। কোথাও মারামারি হয়, কোথাও আবার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। রাম নবমীকে (Ramnavami) কেন্দ্র করে এই হিংসার ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস সিভাগনানামের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী সৌম্য মজুমদার আদালতে সওয়াল করার সময় বলেন, ‘গত ৩০ মার্চ হাওড়া ও ডালখোলায় যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পুলিসের অনুমতি নিয়েই সেখানে মিছিল হয়েছিল।’

   

এদিন আদালতে আইনজীবী পুলিসের নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তোলেন। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় রাজ্যপাল ও কেন্দ্র সরকার হস্তক্ষেপ করেছে। হুগলি ও হাওড়ার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি বলেই দাবি তাঁর। ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল, রবিবার রাতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় হুগলির রিষড়ায়। ফের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সেই ঘটনাও এদিন আদালতে জানান মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী।

high courtt

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এদিন রাজ্যের এজিকে এবিষয়ে প্রশ্ন করেন, ‘বর্তমানে কী পরিস্থিতি? পুলিস কেন অনুমান করতে পারেনি? অভিযোগ দায়ের হয়েছে? ঘটনায় কেউ কি গ্রেফতার হয়েছে?’ বিচারপতির এই প্রশ্নের উত্তরে এজি জানান, ‘শান্তিপূর্ণ মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিছিল শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যেই মিছিলকারীরা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থা রয়েছে। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হাওড়ার ঘটনার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।’

সেই উত্তর শুনে বিচারপতি রাজ্যের কাছে প্রশ্ন করেন, গতবার একই ঘটনা ঘটেছিল। পুলিস কি আগে থেকে এমন ঘটনার আন্দাজ করতে পারেনি? কেন অনুমতি দেওয়া হল সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী, এই হিংসাত্মক ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানান। এমনকী কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে এলাকায় নামানো হয় তার আবেদনও করেন।

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর