বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকাল অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল রিষড়া। আর আজ সোমবার সেখানে যেতে গিয়ে পুলিসের বাধার মুখে পড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। অভিযোগ, আহত নেতাদের দেখতে রিষড়ায় (Rishra) যাওয়ার পথে সুকান্ত মজুমদারকে বাধা দেওয়া হয়।
আজ রিষড়া এলাকা সকাল থেকে মোটামুটি শান্ত ছিল। বেলা বাড়তেই বাগখাল এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় একটি মোটরবাইকের গতিকে কেন্দ্র করে। ঝামেলা সামলাতে লাঠি চার্জ করে পুলিস। ফের শুরু হয় গলিতে গলিতে পুলিসি টহল।
এই পরিস্থিতিতে রিষড়া যাচ্ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সেই সময় জিটি রোড বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় তাঁর কনভয়। ভাঙা হয় ব্যারিকেড। শুরু হয় পুলিসের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধ্বস্তাধস্তি। বিজেপির অভিযোগ, আজ সকালেই উত্তরপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি থাকা বিজেপির আহত বিধায়ক বিমান ঘোষকে দেখতে যান শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার।
এর পরই সুকান্তর কনভয় রিষড়ার দিকে যাওয়ার পথে, কোন্নগরে পৌঁছোলে, তাঁকে গাড়ি থেকে নামতে বাধা দেয় পুলিস। বাধা পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পুলিসের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতির সফরকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি অশান্তি শুরু হল হুগলিতে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় বসে অবরোধও দেখান
প্রশাসন সুত্রে সূত্রের খবর, শ্রীরামপুর থেকে মাহেশ হয়ে রিষড়া যাওয়ার পথে জিটি রোডে নাকা করা হয়েছে চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের পক্ষ থেকে। প্রতিটি গাড়ি, বাইক নাকা চেকিং করে তবেই রিষড়ার দিকে পাঠানো হচ্ছে। ব্যাগ, গাড়ির ডিকি-সহ সব কিছুই চেক করা হচ্ছে। যাতে আর কোন রকম কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটের তরফ থেকে।