বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার রামনবমীর (Ramnavami) ধর্মীয় মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। হাওড়ার পর মিছিলকে কেন্দ্র করে হুগলীর রিষড়ার (Rishra) কিছু এলাকায় রবিবার সন্ধ্যায় হামলার অভিযোগ সামনে আসে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নেতৃত্বে শোভাযাত্রাকে ঘিরেই ছড়ায় অশান্তি বলে অভিযোগ। যা নিয়ে তোলপাড় বাংলা।
এই আবহে সোমবার সকালের বিমানে চেপে দিল্লির গেলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন তিনি৷ এরপরেই শাসকদলের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বিমানবন্দর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে আক্রমণ শানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে।
পাশাপাশি রিষড়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়েছে বলেও জানান দিলীপবাবু। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। ঠিক আছি কিনা জানতে চাইলেন। যে বিধায়কের চোট লেগেছে তিনি ঠিক আছেন কিনা তা জানতে চাইলেন।” প্রসঙ্গত, রবিবার হামলা জেরে আহত হন পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) বিমান ঘোষ। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
রিষড়ার গোটা ঘটনা নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ‘শকুনির রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এদিন এই প্রসঙ্গে পাল্টা কুণালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। এদিন দিলীপ বলেন,” উনি রামনবমীর কি জানেন? হারামের ধন খেয়ে রাম বলে আর কিছুর জ্ঞান নেই। যাদের সঙ্গে উনি আছেন, তারাও রামের ভক্ত নয়। রামনবমী থেকে হনুমানজয়ন্তী পর্যন্ত সারা দেশে উৎসব চলে। সারা বছর মানুষ রামকে নিয়ে মেতে থাকে। ভারত রামের জায়গা। এখানেও চলবে।”
পাশাপাশি বিজেপিকে ক্রিমিনালের দল বলেছিলেন তৃণমূলের কল্যাণ মুখোপাধ্যায়, সেই নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “১২ বছর ধরে আমি রিষড়া যাচ্ছি। উনিও তো সাংসদ ছিলেন। কোনো দিন তো গন্ডগোল হয়নি। আজ কেন হচ্ছে? গোটা রাজ্য জুড়ে কেন হচ্ছে? সংখ্যালঘু ভোট ফিরিয়ে আনার জন্য? নাকি ভয় দেখানোর জন্য? ভাবুন, এখানকার সমাজ আপনাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। পরিবর্তন হতে বেশি সময় লাগে না। হিন্দু সমাজ যদি ধার্মিক উৎসব পালন করতে না পারে, তারাও ভাববে আপনাদের সম্পর্কে। গুন্ডাদের এগিয়ে দিয়ে রাজনীতি বেশিদিন চলতে পারে না।”