বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। বিগত কিছুমাস ধরে কেলেঙ্কারি ইস্যুতে একের পর এক উঠে এসেছে তৃণমূল (TMC) নেতা-মন্ত্রীদের নাম। যা নিয়ে যথেষ্টই অস্বস্তিতে শাসকদল। তবে তৃণমূলও ছাড়ার পাত্র নয়, বাম জামানায় হওয়ার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাল্টা কাঠগড়ায় তুলেছে সিপিএম (CPM) নেতাদের। যার ফিতে কাটা হয়েছে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর কলেজের চাকরিকে হাতিয়ার করে।
বিগত কিছুধরে এই নিয়েই সংবাদ শিরোনামে বামেরা। তৃণমূলের দাবি, বাম জামানায় সকলের প্রকার সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে চলত লাগামহীন দুর্নীতি। ছিল ‘চিরকুট’ সুপারিশ সিস্টেম। শাসকদলের অভিযোগ সেই সময় স্বজনপোষণের কারনে যোগ্যরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হতেন। এখানেই শেষ নয় প্রমানস্বরূপ, বাম নেতা সুজন চকবর্তীর স্ত্রী সহ তার পরিবারের একাধিক সদস্যের সরকারি চাকরি নিয়ে প্রশ্নও তোলা হয়।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দলের এই অভিযোগকে আরও পোক্ত করতে সুজনবাবুর পরিবারের এক ডজন সদস্যের সরকারি চাকরির তালিকাও প্রকাশ করেন। এই সব নিয়েই যখন তোলপাড় তার মাঝেই এবার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা রাজ্যে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের (Sobhondeb Chatterjee) নিশানায় সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।
ঠিক কী বললেন তিনি? এদিন সুজনবাবুকে আক্রমণ করে শোভনদেব বলেন, “এখন দেখলে মনে হয় পাক্কা বৈষ্ণব, কোনওদিন একটা পিঁপড়েও মারেনি। এই ভণ্ডদের থেকে সাবধান থাকবেন।” যদিও শাসকদলের নেতাদের তোলা কোনো অভিযোগই কানে তুলতে নারাজ লাল শিবির।
তবে এদিন শুধু বাম নয়, এদিন নিজের দলেরও সমালোচনা করলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলেরও যে কিছু ভুল-ত্রুটি রয়েছে, সেকথা কার্যত স্বীকার করে শোভবদেব বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেককে মন্দিরের পূজারী করেছিলেন। কিন্তু সব পূজারী ভাল হয়নি। কেউ কেউ খারাপ হয়েছে। কিন্তু পূজারী খারাপ হয়ে গিয়েছে, তার মানে গোটা দলটা খারাপ, তা একেবারেই নয়।”