বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের মতো অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে শ্রীলঙ্কাও (Sri Lanka)। এ বিষয়ে এ বার ভারতের সাহায্য চাইল তারা। প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে ভারতের সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেই ডাকে সারা দিয়েছে ভারত। রাষ্ট্রপতির ডাকে ১ এপ্রিল দু’দিনের শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছে ভারতের একটি প্রতিনিধি দল। বিক্রমাসিংহে মূলত অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভারতের সাহায্য চেয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, ভারতের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক এপি সিং সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি জানান। এ দিনের বৈঠকে সুশাসন, ডিজিটালাইজেশন, নতুন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বিক্রমাসিংহে এ দিন বলেন, তিনি ভারতের আর্থ-সামাজিক বিকাশের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। দেশে ভাল নীতি ও সুশাসনের ব্যবস্থা করতে এনসিজিসির সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। মহাপরিচালক জানান, কীভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর নীতির মাধ্যমে রাজ্যগুলিকে লক্ষ্য দিয়েছেন। গত ২০ বছর ধরে গুজরাটে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে। ভারতে প্রধানমন্ত্রীর সুশাসন আছে, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি।
বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে জনসেবকরা যেভাবে সহযোগিতা করছেন, তা লক্ষ্যণীয় বিষয় বলে মত বিক্রমাসিংহের। আলোচনার সময়, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি এনসিজিজির কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তার অনুরোধ করেছিলেন। দ্রুত আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং উচ্চতর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভারত ডিজিটাল শাসন ও অংশগ্রহণমূলক নীতি প্রণয়ন করছে।
এছাড়াও তিনি দক্ষ, কার্যকর এবং প্রযুক্তি-চালিত জনসেবা প্রদান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সুশাসনের উপর জোর দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব এবং দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উল্লেখ করেছেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদল স্বচ্ছতা, সমতা, অন্তর্ভুক্তি এবং জবাবদিহিতা প্রচারে ডিজিটাল প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাবের উপর জোর দিয়েছে। শ্রীলঙ্কাকে অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বের করে আনতে ভারতের দারস্থ হয়েছেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি। তাঁর আশা, ভারত সাহায্য করলে শীঘ্রই তারা এই দুরবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।