বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকাল গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump)। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের সময় পর্নস্টার স্টর্মির মুখ বন্ধ করতে ঘুষ দেন তিনি। এরপরই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা শুরু হয়। এই মামলাতেই মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ার থেকে ম্যানহাটনের একটি আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
গ্রেফতারির পর প্রথম প্রতিক্রিয়া হিসেবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকা নরকে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি কোনওদিনই ভাবিনি আমেরিকায় এরকম কিছু একটা হতে পারে। আমার একমাত্র অপরাধ, আমি আমেরিকাকে নির্ভীক ভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি।’ ট্রাম্পের আরও দাবি, ‘এই ভুয়ো মামলাটি ২০২৪ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্য আনা হয়েছে। তাই অবিলম্বে এই মামলা খারিজ করে দেওয়া উচিত।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালের অক্টোবরে ট্রাম্পের সঙ্গে ‘সম্পর্কের’ বিষয় নিয়ে মুখ না খোলার জন্য স্টর্মিকে ১৩০,০০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের আইনজীবী। এরপর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে ট্রাম্পের আইনজীবী দাবি করেছিলেন যে স্টর্মিকে নিজের থেকে অর্থ দিয়েছিলেন।
ট্রাম্প নাকি এই বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেননি বলেই জানান তিনি। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরির সামনে নিজের সাক্ষ্য দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী। এরপরই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা চালুর সিদ্ধান্ত নেয় গ্র্যান্ড জুরি। আর গতকাল ঘুষ মামলায় ট্রাম্পকে গ্রেফতার করা হয়।
২০২৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইতিমধ্যেই প্রার্থী হিসাবে নিজের নাম ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তারপরেই প্রকাশ্যে আসে পর্ন তারকা স্টরমিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ। পর্নতারকা স্টরমির সঙ্গে আগে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল ট্রাম্পের। পরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন পর্নতারকা। তিনি যাতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ না খোলেন, তার জন্য আইনজীবী মারফত ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার পাঠানো হয়।