বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে রিষড়ায় (Rishra) হামলার ঘটনা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগে উত্তপ্ত বাংলা। রিষড়ায় ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেই (Dilip Ghosh) কাঠগড়ায় তুলেছেন। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রিষড়ায় যান। সেই বিষয়েই সৌগত রায় দিলীপবাবুকে আক্রমণ করে বলেন, “রাজ্যপালের জানা উচিত গোটা ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে দিলীপ ঘোষ ওখানে যাওয়ার পর।”
এদিন সৌগতর এই মন্তব্যের পর পাল্টা মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “তৃণমূল আমাকে টার্গেট করে। কারণ আমাকে ওরা ভয় পায়। ওরা জানে যে আমি গেলে পরিবর্তন হবে, রাজনীতির গ্রাফ পাল্টে যাবে। ওদের ক্ষমতা চলে যাবে, দাপট কমে যাবে। আজ নয়, অনেক দিন ধরেই এটা করছে।”
শুধু তাই নয়, শাসকদল কেন তাকে ভয় পায় সেই বাখ্যাও দেন দিলীপবাবু। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লড়াইটা তো আমিই দিয়েছি। বিধানসভার নির্বাচন থেকে রাস্তাঘাটে, পঞ্চায়েতে, সব জায়গায়। সেই জন্য আমাকেই টার্গেট করে। আমি রাস্তায় নামলে ভয় পায় ওরা।”
এদিন দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বঙ্গ বিজেপিও এখন দুই শিবিরে বিভক্ত বলেই মনে করেন অনেকে। রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক ব্যাপারে এখন দিলীপ ঘোষের ভূমিকা অনেকটাই সীমিত। এই আবহে সাংসদের এই মন্তব্য বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার দিলীপ ঘোষ রিষড়ায় পৌঁছনোর পর গোলমাল শুরু হয়। তৃণমূল নেতাদের মতে , দিলীপ ঘোষের জন্যই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সোজাসুজি দিলীপবাবুকে আক্রমণ করে বলেন, “দিলীপ ঘোষ বাইরে থেকে লোকজন এনে গোলমাল করিয়েছেন। হামলাকারীরা কেউ হুগলির লোক নয়। উনিই উস্কানি দিয়েছেন।”
অন্যদিকে ঘটনার পর দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, “আমি ১২ বছর ধরে রিষড়ায় যাচ্ছি। আজ নতুন নয়। কোনও দিন সংঘর্ষ, গোলমাল হয়নি। এখন সংখ্যায় (মিছিল) বড় হচ্ছে। ওদের ভয় হচ্ছে, তখন গণ্ডগোল করা হচ্ছে।” পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, “রাম নবমীর মিছিলে কোনও বহিরাগত ছিল না। বরং কল্যাণ ব্যানার্জির সঙ্গে যারা ছিল তারাই তো দেখলাম মিছিলেও ছিল। কার লোক কোথায় ছিল কিছুই তো বোঝা যাচ্ছে না।”