মারধর করেছে তৃণমূলের ঠিকাদার, আতঙ্কে পঞ্চায়েত অফিসেই যাচ্ছেন না TMC প্রধান

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদের ঘটনা। খোদ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে (Panchyat Pradhan) ধরে মারধরের অভিযোগ উঠল দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নওদা ব্লকের বালি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঙ্গীতা মাঝিকে তৃণমূলেরই ঠিকাদাররা মারধর করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনা চাওর হতেই শোরগোল গোটা এলাকায়।

কী জানা যাচ্ছে? গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে স্থানীয় মকবুল সেখ সহ তৃণমূলের কয়েকজন ঠিকাদার হানা দেয়। এরপরই তাঁরা সঙ্গীতাদেবীকে দিয়ে টেন্ডারের জন্য কিছু কাগজে সই করতে চাপ দিতে থাকেন। শুধু তাই নয় তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মারধর করা হয় তাকে।

এরপর ঘটনার খবর পেয়ে প্রধানের স্বামী সঙ্গীতাদেবীকে বাচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এখানেই শেষ নয় কাজ না হলে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকেই ভয়ে আর পঞ্চায়েত অফিসে যেতে সাহস পাচ্ছেন না প্রধান। তার কথায়, ‘সেদিনের ঘটনার পর থেকে আমি খুব আতঙ্কে আছি। আমাকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।’

tmc flg

পাশাপাশি সঙ্গীতাদেবীর অভিযোগ, প্রথমে তিনি নওদা থানার অভিযোগ জানাতে যান। তবে সেখানে অভিযোগ না নেওয়ায়, পরবর্তীতে বেলডাঙা এসডিপিও অফিসে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী অফিসে না যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন বহু মানুষ। সামান্য একটা সই এর জন্যও তাদের প্রধানের বাড়িতে ছুটতে হচ্ছে।

এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন বালি ১নং অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সেখ। তার মতে, ‘পঞ্চায়েতে বেশ কিছু কাজের জন্য ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গেলেও সেইসব কাজ শুরু হচ্ছিল না। এই বিষয়েই প্রধানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সেইসময়ই একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।” তবে মারধরের অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করে তিনি বলেন,” মারধর করা হয়নি। প্রধানকে পুনরায় পঞ্চায়েতে আসার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি।” একই দাবি অভিযুক্ত মকবুল সেখেরও। তার দাবি, “পঞ্চায়েতের কিছু কাজ নিয়ে প্রধানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর