বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ প্রথম ১১ ওভারের পর কেউই হয়তো ভাবতে পারেননি যে ম্যাচটা এভাবে শেষ হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটলো। শার্দূল, গুরবাজ, রিঙ্কুর ব্যাট হাতে দাপটের পর কেকেআরের ত্রিফলা স্পিন আক্রমণের ফাঁসে জড়িয়ে বিশ্রীভাবে হারের মুখ দেখলো বিরাট কোহলির আরসিবি। নারায়ণ, বরুণ ও সুয়াস শর্মার স্পিনের কোনও জবাব ছিল না আরসিবি ব্যাটারদের কাছে। পাঞ্জাবের কাছে হারের পর অসাধারণ প্রত্যাবর্তন করলো নাইটরা।
যদিও আজ টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামার পর ব্যাট হাতে চূড়ান্ত হতাশ করলেন ওপেনার ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা মন্দীপ সিং। আজ হ্যাজেলউড ও টোপলির চোটের কারণে আরসিবি একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন ডেভিড উইলি। বাঁ-হাতি পেসার পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে কেকেআরকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। এরপর ব্রেসওয়েলের প্রথম ওভারের প্রথম বলে রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে নিজের উইকেট ছুড়ে আসেন নতুন কেকেআর অধিনায়ক নীতিশ রানা।
এরপর কর্ন শর্মার করা ১১ তম ওভারের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে গুরবাজ ও রাসেল পরপর ফিরলে কেকেআর আর ম্যাচে ফিরতে পারবেন না, এমনটাই আশা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু যাবতীয় হিসাব বদলে দেন শার্দূল ঠাকুর। চলতি বছরের আইপিএলে সবচেয়ে দ্রুততম (২০ বলে) অর্ধশতরান করে তিনি কেকেআরকে প্রবল ভাবে ম্যাচে ফেরত আনেন।
একসময় ১৫০-এর গণ্ডি ছুঁতে পারবে কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ থাকা কেকেআর শেষ ওভারে ২০০ রানের গন্ডি পেরিয়ে যান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন রিঙ্কু সিং। তাদের মধ্যে একটি বিরাট পার্টনারশিপ হয় এবং রিঙ্কু ৪৬ ও শার্দূল ৬৮ রান করে আরসিবির সামনে জয়ের জন্য ২০৫ রানের লক্ষ্য রাখে। ডেভিড উইলি ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেও আকাশদীপ, হর্ষল ও সিরাজের জঘন্য বোলিং তার পারফরম্যান্সকে বৃথা করে দেয়।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন বিরাট কোহলি এবং ফ্যাফ দু প্লেসিস। কিন্তু পেশারদের আক্রমণ থেকে সরিয়ে স্পিনারদের আক্রমণে আনতেই খেলা পুরোপুরি বদলে যায়। শুরুটা হয় নারায়ণের বলে কোহলির বোল্ড হওয়া থেকে। এরপর একই ভঙ্গিতে দু প্লেসিস ও ম্যাক্সওয়েলকে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে দেন বরুণ চক্রবর্তী। সারপ্রাইজ প্যাকেজ ছিলেন ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা তরুণ লেগস্পিনার সুয়াস শর্মা। দীনেশ কার্তিক, অনুজ রাওয়াত ও কর্ন শর্মাকে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে দেন তিনি। শেষদিকে ডেভিড উইলি এবং আকাশদীপ কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে আরসিবিকে নিয়ে আসেন অবধি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে আবার হেরে হতাশ করলেন বিরাট কোহলিরা।