বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকাল শীতলকুচির (Sitalkuchi) পর আজ নদিয়ার হাঁসখালি। সাতসকালে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেওয়া হল তৃণমূল নেতা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু তদন্ত।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম আমোদ আলি বিশ্বাস। নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার রামনগর বড় চুপড়িয়ার তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। প্রত্যেক দিনের মতোই শুক্রবার সকালেও বাজারে এসেছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। যে চায়ের দোকানে প্রতিদিন বসেন, এদিনও সেখানেই বসে চা খাচ্ছিলেন। স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এই খাওয়াই কাল হবে তাঁর। পরিচিত ওই জায়গায় এমন বিপদ অপেক্ষা করে রয়েছে তা বুঝতে পারেননি তিনি।
কী ঘটেছিল? হঠাৎই ওই চায়ের দোকানের সামনে বাইক নিয়ে হাজির হয় আট থেকে ১০ জন দুষ্কৃতি। সকলের মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল। বাইক দাঁড় করিয়েই কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমোদ আলিকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে জখম হয়ে প্রাণভয়ে পালানোর চেষ্টা করেন আমোদ আলি। তখন তাঁকে তাড়া করে গুলি করতে থাকে দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে বাজারেই লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে দুষ্কৃতীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় ঘটনাস্থল থেকে পালান স্থানীয়রা। আমোদ আলিকে কেউ বাঁচাতে আসতে পারেননি সাহস করে।
উপস্থিত মানুষজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিরাট পুলিস বাহিনী। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আমোদ আলিকে কেন খুন করা হল, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিস। এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ আছে, নাকি ব্যক্তিগতক শত্রুতার জেরেই এই খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকেই আততায়ীদের সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিস। তবে হামলার সময় দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকেরই মুখ ঢাকা থাকায় প্রত্যক্ষদর্শীরাও সেভাবে কিছু দেখতে পাননি বলেই জানা গেছে।