বাসে লাগানো বোমা, পাকিস্তানে গিয়ে প্রাণ যেতে বসেছিল সোনুর! হনুমান চালিশার জোরে পেয়েছিলেন রক্ষা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কাজের জন্য কত কিছুই না করতে হয় তারকাদের। অনেক সময়ে এমন সব পরিস্থিতিতে তাঁরা পড়েন যে সেখান থেকে উদ্ধার পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এমনি এক পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী সোনু নিগম (Sonu Nigam)। পাকিস্তানে গিয়ে প্রাণ হারানোর পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছিল তাঁর সামনে। কীভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন সোনু?

এই ঘটনা ২০০৪ সালের। বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরে ঘুরে গানের অনুষ্ঠান করে বেড়ান সোনু। তেমনি সে বছর তিনি গিয়েছিলেন পাকিস্তানে। গানের অনুষ্ঠান করতেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তিনি। করাচির এক আর্মি এরিয়াতে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে কী ভয়ঙ্কর বিপদে পড়বেন তার আগাম আভাস পাননি সোনু।

sonu nigam
পাকিস্তানের ওই অনুষ্ঠানে নিজের পুরো পরিবার নিয়ে গিয়েছিলেন গায়ক। এক সাক্ষাৎকারে সোনু বলেছিলেন, তাঁরা পৌঁছানোর আগেই অনুষ্ঠানের জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের খবর এসে পৌঁছায়। সোনুদের সঙ্গে যাওয়া গাড়িতেও হঠাৎ করে বিষ্ফোরণে ছাদ উড়ে যায়। এখানেই শেষ নয়।

উপর্যুপরি বিষ্ফোরণের ঘটনায় চতুর্দিক তখন থমথমে। সোনু জানান, একটি বাসে করে অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ওই বাসেই সোনুর সঙ্গে তাঁর পরিবারও। এর মধ্যেই জানা যায়, ওই বাসেও রয়েছে বোমা যা যেকোনো সময়ে ফাটতে পারে। কীভাবে ওই পরিস্থিতি থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরলেন সোনু?

সাক্ষাৎকারে গায়ক জানান, তিনি পুরো সময়টা এক মনে হনুমান চালিশা পড়ে যাচ্ছিলেন। অদ্ভূত ভাবে সেদিন বাসের বোমাটা বিষ্ফোরণ হয়নি। প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন সোনু ও তাঁর গোটা পরিবার। গায়ক বলেন, তাঁর মায়ের কথায় প্রত্যেক মঙ্গলবার তিনি মন্দিরে যান, হনুমান চালিশা পাঠ করেন। এমনকি প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানের আগেও তিনি নিয়ম করে হনুমান চালিশা পড়েন।

সোনুর বিশ্বাস, হনুমান চালিশার জোরে, বজরং বলীর আশীর্বাদে সেদিন তিনি সপরিবারে বেঁচে ফিরেছিলেন। তিনি বলেন, বজরংবলী তাঁদের নতুন জীবন দান করেছিলেন। পরবর্তীকালে হনুমান চালিশাতে কণ্ঠও দিয়েছিলেন সোনু। তিনি বলেছিলেন, গান গাওয়ার সময়ে তাঁর মনে হচ্ছিল যেন তিনি মায়ের উপস্থিতি অনুভব করতে পারছিলেন।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর