বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন রিঙ্কু সিং। পুরোপুরি গুজরাটের মুঠোয় চলে যাওয়া ম্যাচ একার হাতে ছিনিয়ে আনলেন এই তারকা ক্রিকেটার। আজ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। যশ দয়ালের ওভারের দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ বল অবধি পরপর চারটি ছক্কা মেরে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন তিনি। ব্যর্থ হয়ে গেল আলজারী জোসেফের দুরন্ত বোলিং এবং রশিদ খানের শেষ ওভারে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক।
এর আগে ঋদ্ধিমানের ব্যাটে ভর করে ভালো শুরু করেছিল গুজরাট টাইটান্স। অধিনায়ক হার্দিকের অনুপস্থিতিতে আজ অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন আফগান স্পিনার রশিদ খান। ঋদ্ধিমান ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। কিন্তু সাই সুদর্শন এবং আজ হার্দিকের বদলে সুযোগ পাওয়া বিজয় শঙ্কর ম্যাচের রূপরেখা বদলে দেন। সুদর্শন ধৈর্যশীল ৫৩ এবং বিজয় শঙ্কর ২৪ বলে ৬৩ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলে কলকাতার সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য রেখেছিল ২০৫ রানের।
আজও কলকাতার দলের ছিলেন না জেসন রয়। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ভালো শুরু করে বড় রান করতে ব্যর্থ হন। এরপর রানা এবং ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ১০০ রানের পার্টনারশিপ জয়ের আশা দেখিয়েছিল নাইটদের। কিন্তু তারা দুজন আউট হওয়ার পর রশিদ খান নিজের পরপর তিন বলে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারায়ণ ও শার্দূল ঠাকুরকে আউট করে কেকেআরের জয়ের আশা শেষ করে দেন রশিদ খান।
এখান থেকে যে নাইট রাইডার্স ম্যাচে জিততে পারে তা কেউই আর ভাবতে পারেননি। রিঙ্কু সিং এই সময়ে নিজেই ৯০-এর স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু শেষ দুই ওভারে ৪৪ রান করে তিনি আইপিএলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা জয়টি কলকাতার নামে নিশ্চিত করে দেন। ২১ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।