বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ জয় দিয়ে সুপার কাপে (Super Cup) নিজেদের অভিযান শুরু করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের দলের ওপর যে সমর্থকদের বিশাল প্রত্যাশা আছে এমনটা বললে মিথ্যে বলা হবে। তা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গল প্রেমীরা চোখ রেখেছিলেন ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে লাল হলুদ ফুটবলারদের পারফরম্যান্সের দিকে। এই টুর্নামেন্টে কেমন ভাবে নিজেদের প্রিয় দল যাত্রা শুরু করে সেই নিয়ে কৌতূহলী ছিলেন অনেকেই। প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়ে ভক্তদের কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শেষপর্যন্ত নিশ্চিতভাবে যেতাম ম্যাচ মাঠে ফেলে রেখে এলেন জ্যাক জার্ভিসরা।
আজ প্রথমার্ধের একদম শেষ দিকে মোবাশির রেহমানের চলতি মরশুমে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে প্রথম করা গোলে লিড নিয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের ফুটবল দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেও বেশ কিছু আক্রমণ তৈরি হলেও তা থেকে গোল তুলে নিতে পারেনি ক্লিয়েটন সিলভারা। অপরদিকে মাঝে মাঝেই আক্রমণে এসে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণভাগকে কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছিলেন তাদের তারকা ফরোয়ার্ড দিয়েগো মৌরিসিও।
শেষ পর্যন্ত তিনি যখনটা দিয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গল ভক্তদের। গোটা ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করা ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার অতুল উন্নীকৃষ্ণানকে গতিতে পরাস্ত করে তিনি বিপদজনকভাবে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে এসে বল বাড়ান। সেই বল থেকে কোনও মার্কিং ছাড়াই বিনা বাঁধায় শট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক কমলজিৎ সিংকে পরাস্ত করেন নন্দা কুমার।
এরপর বেশ কয়েকবার গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। জ্যাক জার্ভিসের শট একবার পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ক্লিয়েটন সিলভা একবার নাওরেম মহেশকে পাস না দিয়ে নিজে দুরহ কোণ থেকে গোল করতে গিয়ে একটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। এরপর ম্যাচের একদম শেষমুহূর্তে এক ইঞ্চির ব্যবধানে বল পায়ে ঠেকাতে না পেরে ইস্টবেঙ্গলকে জেতানোর সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন জার্ভিস। তাহলে ১ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে।
অপরদিকে গ্রুপের আরেকটি ম্যাচে হায়দারাবাদ এফসি ২-১ ব্যবধানে আইজল এফসি-কে হারিয়ে দিয়ে গ্রুপে শীর্ষস্থানে পৌঁছে গেছে। ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ এই হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেই। তার আগে একটি জয় হাতে থাকলে ইস্টবেঙ্গলেরই সুবিধা হতো।