বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ আইপিএল আরম্ভ হওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হতে চলেছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু উত্তেজক ম্যাচ উপহার পেয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। বেশ কিছু ক্রিকেটার মনে রাখার মত স্মরণীয় কিছু পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন। তারকাদের মধ্যে বেশিরভাগই সফল হয়েছেন আবার কেউ কেউ চূড়ান্ত ব্যর্থ। অন্যান্য বছরের মতো এবারও নতুন কিছু তারকার উত্থান চোখে পড়ার মতো।
তবে এই নির্দিষ্ট প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব সেই চারটি দল সম্পর্কে যাদের খেলায় ধারাবাহিকতা দেখা গিয়েছে। টুর্নামেন্টে এখনও অনেক উত্থান পতন বাকি রয়েছে প্রচুর। ভিত্তিতে বিচার করলে এই চারটি দলেরই প্লে অফের জন্য যোগ্যতা অর্জন করা উচিত বলে অনেকে মনে করছেন।
চেন্নাই সুপার কিংস: আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফলতম দলগুলির মধ্যে একটি তারা। টুর্নামেন্টে তাদের যাত্রাটা শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে মরশুমের প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছিল তাদের। কিন্তু মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে দুর্দান্তভাবে। টপ অর্ডারে রুতুরাজ গায়কোয়াড নিয়মিত রান করছেন। স্পিনাররা দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন এবং প্রতিদিনই ম্যাচ জেতানোর ব্যাপারে বড় ভূমিকা রাখছেন। তাদের টপ ফোরে না দেখলে বেশ কিছুটা আশ্চর্যই হতে হবে শেষপর্যন্ত।
গুজরাট টাইটান্স: গত মরশুমে যেখানে নিজেদের অভিযান শেষ করেছিলেন ঠিক সেখান থেকেই যেন এই মরসুমে নিজেদের যাত্রা শুরু করেছেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। কলকাতা নাইট রাইডার্স এর কাছে একটি ম্যাচে তাদের হারতে হলেও সেই হার ১০০ বারের মধ্যে ১ বারই হওয়া সম্ভব। টপ অর্ডারের ব্যাটাররা রোজই ভালো শুরু করাচ্ছেন দলকে। মিডল অর্ডারকে আগের বছরের চেয়েও বেশি স্থিত দেখাচ্ছে। তাদের দলের তারকা বোলাররা যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারার ক্ষমতা রাখেন ফলে তাদেরকে যদি শেষ পর্যন্ত প্লে অফে না দেখা যায় তাহলে কিছুটা আশ্চর্যই হবেন সমর্থকরা।
রাজস্থান রয়্যালস: দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন দলের ব্যাটাররা। সেই সঙ্গে অসাধারণ ফিল্ডিংও করছে দলটি। মাঝে পাঞ্জাবের কাছে একটি ম্যাচে হারতে হলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়েছিলেন তারা। সেই সঙ্গে দলের তারকা বোলাররাও রয়েছেন দুরন্ত ছন্দে। প্লে অফে যোগ্যতা অর্জনের জন্য যা যা প্রয়োজন সেই সবই মজুদ রয়েছে তাদের দলে। এখন শুধু প্রয়োজন ধারাবাহিকতা বজায় রাখার।
কলকাতা নাইট রাইডার্স: নাইটরা অভিযান শুরু করেছিল অত্যন্ত বেকায়দায়। কিন্তু এরপর প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচগুলি জিতে নিচ্ছেন তারা। অনেকে বিশ্বাস করেন নাইটদের প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি বিঘ্ন না ঘটালে সেই ম্যাচেও শেষ পর্যন্ত জিতেই মাঠ ছাড়তে পারতেন শার্দূল ঠাকুররা। দলের ব্যাটিং গভীরতা বিশাল। হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে আনছেন ক্রিকেটাররা। সুযোগ পেলে দলের যেটুকু সমস্যা রয়েছে সেটুকুও কেটে যাবে বলে বিশ্বাস করেন সমর্থকরা।