বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরম আর পাহাড় যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। গরমের ছুটিতে পাহাড়ে বেড়াতে যাবেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই গরমে যারা দার্জিলিং যাওয়ার আগে একঘেয়ে লাগার কথা ভাবছেন অথবা কালিম্পংয়ে যাওয়ার আগেও প্রচুর ভাবনা চিন্তা করছেন, তাদের জন্য এবারের ডেস্টিনেশন হতেই পারে পানবুদারা। পর্যটন মানচিত্রে আলাদাই নজর কেড়েছে এই স্থান।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, কীসের জন্য পানবুদারার (Panbudara) প্রতি এত আকর্ষণ? ৫৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত পানবুদারা ভিউপয়েন্টের (Viewpoint) জন্য বিশেষ বিখ্যাত। এই জায়গা থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘার ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায়। ওপরে কাঞ্চনজঙ্ঘা আর নীচে তিস্তা। দার্জিলিং (Darjeeling) অথবা গ্যাংটক থেকে ফেরার পথে ঘুরে আসতে পারেন এই স্থান। রাতের বেলা নিচে শিলিগুড়ি শহরকে আপনি চাক্ষুস করতে পারবেন।
তিস্তা নদীর অনন্য সুন্দর রূপের সাক্ষী থাকতে পর্যটকরা ভিড় জমান পানবুদারায়। এখানে একই ফ্রেমে ধরা পড়বে সেভকের রেল ব্রিজ আর ঐতিহ্যশালী করোনেশন ব্রিজ। এই পানবুদারা থেকে কাছেই রয়েছে ইয়ামাখুম। এছাড়াও, আপনি চাইলে এখান থেকে সামথারা, চারখোল, সিঞ্জিদারা, ঝান্ডিদারা, ডেলো, দুরপিন ঘুরে আসতে পারেন। পানবুদারার আশেপাশের সব কটি জায়গাই খুবই সুন্দর।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার, পানবুদারায় থাকা খাওয়ার যথেষ্ট ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। পানবুদারাতে অনেক গুলি ছোট হোমস্টে ও রিসর্ট আছে। বছরের যেকোন সময় সেখানে গিয়ে থাকার পাশাপাশি পানবুদারায় ক্যাম্পিংয়ের বন্দোবস্ত আছে। ১০০০-২০০০ টাকার মধ্যে থাকা ও খাওয়া সমেত মাথাপিছু পেয়ে যাবেন। ঘরোয়া আতিথেয়তার সঙ্গে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার মিশেলে মুগ্ধ হবেন আপনিও।
নিশ্চয়ই ভাবছেন, কীভাবে যাবেন এই অফবিট পাহাড়ি এলাকায়? ট্রেনে করে শিলিগুড়ি বা এনজেপিতে আপনাকে নামতে হবে। শিলিগুড়ি থেকে রম্ভিবাজার হয়ে পানবুদারাতে আসা যায়। দূরত্ব প্রায় ৭৩ কিমি। এছাড়া, অনুমতি নিয়ে কালীঝোরা হয়ে পানবুদারা যেতে গেলে দূরত্বও কিছুটা কমবে। সেই রুটে অসাধারণ প্রাকৃতিক রূপও দেখতে পাবেন।