”বড় ভুল করেছি, ক্ষমা করে দিন!” শুভেন্দুর গলায় আক্ষেপের সুর! কী হল বিরোধী দলনেতার?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। গেরুয়া শিবিরের সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুটা ম্রিয়মান হয়ে গিয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের ঔজ্জ্বল্য। ১৮ আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। আর সেই নির্বাচনের পরই উপ নির্বাচন হয়েছিল কালিয়াগঞ্জ (Kaliagunj) বিধানসভা কেন্দ্রে। সেখানে প্রায় ২৩০০-র বেশি ভোটে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস (All India Trinamool Congress)। আর জয়ের পিছনে একটা বড় অবদান তৎকালীন তৃণমূল নেতা এবং বর্তমান সময়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

কিন্তু, এখন সময় বদলেছে। ঘাসফুলের সঙ্গ ত্যাগ করে পদ্মফুলের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়েছেন শুভেন্দু (Subhendu Adhikari)। আর সেই কারণেই সেদিনের সেই জয়ের জন্য বুধবার কালিয়াগঞ্জবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন বিরোধী দলনেতা। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, “বিরাট ভুল করেছি, ক্ষমা চাইছি৷ ২০১৯ সালে বিজেপি ১৮ আসনে জেতার পর তৃণমূলের দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ তার পরে তিনটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়- নদিয়ার করিমপুর, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে৷”

পাশাপাশি পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ শুভেন্দুর আরোও সংযোজন, “তখন আমি তপন দেব সিংকে কালিয়াগঞ্জ থেকে ২৩০০ ভোটে কালিয়াগঞ্জ থেকে জিতিয়েছিলাম৷ তার পর তৃণমূলের দোকান খুলেছিল৷ এর বদলা আমরা সুদে আসলে নেব৷” এদিনের সভায় সেই কালিয়াগঞ্জে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনের ফলে ওই এলাকায় তৃণমূলের ‘দোকান’ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে উপ নির্বাচনে তিনিই তৃণমূল প্রার্থী তপন দেব সিংকে জিতিয়েছিলেন। এরপর নাকি তৃণমূল অবস্থান ভাল হয়েছিল।

suvendu bjp

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দুর উপরে যে জেলাগুলির দায়িত্ব ছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল উত্তর দিনাজপুর। এদিকে, শুভেন্দু যেমন তৃণমূলকে সাহায্য করার জন্য এখন ক্ষমা চাইছেন, সেরকমই তাঁকে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দিয়ে ভরসা করার জন্য একাধিকবার আক্ষেপ করতে শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ তবে, এই ঘটনার কোনও প্রভাব আগামী পঞ্চায়েত বা লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) উপর পড়বে না বলেই আশাবাদী তিনি।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর