বাংলা হান্ট ডেস্ক : দুদিন আগেই সামনে আসে খবর। সাগরদিঘী বিধানসভা (Sagardighi Constituency) এলাকাতে নাকি বন্ধ লক্ষীর ভান্ডারের টাকা। আর এবার তার প্রতিবাদেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাগর দীঘিতে বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন লোকসভার পরিষদীয় দলে নেতা কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।
সাগরদিঘী বিধানসভা উপনির্বাচিত জিতে জাতীয় কংগ্রেসের বিধায়ক হন বাইরন বিশ্বাস। আর তার পরই লক্ষী ভান্ডারের টাকা গত দুই মাস ধরে পাচ্ছেন না এলাকার মহিলারা। রাজ্য সরকারি টাকা কেন মহিলারা পাচ্ছে না এরই প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
সাগরদিঘিতে কারোর একাউন্টেই নাকি লক্ষীর ভান্ডারের টাকা ঢোকেনি। এরপরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। টাকা না ঢোকায় রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাঁদের অভিযোগ সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে হেরেছে তৃনমুল কংগ্রেস। আর এর প্রতিশোধ নিতেই সরকারের পক্ষ থেকে মহিলাদের একাউন্টে লক্ষীর ভান্ডারের টাকা দেওয়া হয়নি।
সাগরদিঘীর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সঞ্জয় শিকদার জানান, ‘এই বিষয়ে এখনও কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। যদি কোনও অভিযোগ আসে আমরা তদন্ত করে দেখব। যা রিপোর্ট আসবে তা কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা পাঠাব। আপনাদের কাছ থেকেই জানলাম। আমরা দেখব বিষয়টি।’ তবে রাজনৈতিক ভাবে কোনও কিছুই বলতে চাননি তিনি।’
সাগরদিঘী এলাকার এক মহিলা সায়রা বিবি বলেন, ‘আমরা লক্ষীর ভান্ডার আগে পেতাম। কিন্তু ২ মাস ধরে আর ঢোকেনি। কেন ঢোকেনি তা জানি না। ভোটের পর থেকে আর পাইনি টাকা। ভোটে মমতা হেরেছে তাই হয়ত পাইনি টাকা।
বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি আজই জানতে পারলাম তৃণমূল হেরে যাওয়ায় সাগরদিঘীর সকল মহিলার টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। এটাই তৃণমূলের চরিত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিহিংসারায়ণ একজন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা মুখে অনেক কথাই বলেন, কিন্তু কাজে করেন অন্য। এই রমজানের সময় মুসলমান অধ্যুষিত একটি এলাকার টাকা আটকে রাখা ঠিক নয়। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত।’