বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের শীঘ্রই হাই-স্পিড ট্রেন চালু করতে চায় কেন্দ্র। সে জন্য দেশে এই উচ্চ গতি সম্পন্ন ট্রেন চালানোর মতো পরিকাঠামোর কাজও হচ্ছে দ্রুত গতিতে। এর মধ্যেই আরও একটি খবর দিল রেল। শীঘ্রই ভারতে ট্রেনগুলির গতি আরও বাড়াতে চলেছে তারা। সাধারণ ট্রেনগুলির গতিও আগের চেয়ে আরও বাড়াতে চায় রেল (Indian Railways)। এর জন্য একটি বিশেষ উচ্চ গতি সম্পন্ন পরীক্ষামূলক ট্র্যাক তৈরি করা হচ্ছে।
রেল সূত্রে খবর, নতুন এই ট্র্যাকে ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন চালিয়ে পরীক্ষা করা যাবে। এই ব্রড গেজ ট্র্যাকটি মোট ৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। রাজস্থানের জোধপুর ডিভিশনে গুধা থেকে থথানা মিথড়ি অবধি এই ট্র্যাকটি তৈরি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানে ভারতের সমস্ত হাই-স্পিড ট্রেন চালিয়ে পরীক্ষা করা হবে। এই ট্র্যাকটি জয়পুর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ভারতীয় রেল জানিয়েছে, আগামী দিনের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসগুলিও এই ট্র্যাকে চালিয়ে পরীক্ষা করা হবে। রেলের দাবি, এই প্রকল্পটি শেষ হলে ভারতই প্রথম দেশ হবে যাদের কাছে আন্তর্জাতিক মানের ট্রেন পরীক্ষা ব্যবস্থা থাকবে। রেল সূত্রে খবর, এই হাই-স্পিড ট্র্যাকে একটি ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ মেন লাইন হবে। এছাড়াও গুধায় একটি ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ হাই-স্পিড লুপ লাইনও থাকবে। নাভায় একটি ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ টেস্টিং লুপ থাকবে।
একইসঙ্গে মিথড়িতে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ কার্ভ টেস্টিং লুপ রাখা হবে। উত্তর-পশ্চিম রেলওয়ে জোনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই ৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্র্যাকটির প্রথম ধাপের কাজ সম্পন্ন হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের কাজও শেষ হয়ে যাবে। এমনই আশা করা হচ্ছে রেলের তরফে। রেল জানিয়েছে, উচ্চ গতি সম্পন্ন এই পরীক্ষামূলক ট্র্যাকটি ভারতের একাধিক ট্রেনের পরীক্ষা করতে সাহায্য করবে।
এই প্রকল্পে রেল-হুইল ইন্টারঅ্যাকশন ফোর্স, ক্র্যাশ টেস্টিং, স্টেবিলিটি টেস্টিং, টুইস্ট অ্যান্ড ইয়াও টেস্টিং, হুইল অফলোডিং টেস্ট এবং কম্পোনেন্টের দ্রুত টেস্টিং করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও এখানে প্রতি ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। সেই মতো ওভারহেড যন্ত্রপাতি এবং সব ধরনের সিগন্যালিং সিস্টেম দেওয়া হচ্ছে। রেলের মতে, ইতিমধ্যেই ৪.৫ কিলোমিটার ট্র্যাক সম্পূর্ণ এবং চালু করা হয়েছে। এখনও ৩১.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৩ কিলোমিটার ত্বরিত টেস্টিং লুপের কাজ পুরোদমে চলছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে।