বাংলা হান্ট ডেস্ক : ইমরান খানের (Imran Khan) বিয়ে আসলে শরিয়তি আইনে মান্যতা পায় না! এমনটাই দাবি করলেন পাকিস্তানের (Pakistan) এক মৌলবি। ২০১৮ সালে তিনিই বুশরা বিবির সঙ্গে ইমরানের বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এতদিন পরে তিনি দাবি করলেন, যে সময়ে ইমরান নিকাহ করেছিলেন সেটা আসলে শরিয়তি আইনে মান্যতা পায় না। কারণ বিয়ের সময় বুশরা বিবি ইদ্দাত পর্বের মধ্যে ছিলেন।
মুসলিমদের শরিয়া আইন মেনে বুশরা বিবিকে বিয়ে করেননি ইমরান খান! স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, আদালতে এই কথা জানিয়েছেন মুফতি সইদ। তিনিই ইমরান এবং বুশরার নিকাহ্ করিয়েছিলেন। মহম্মদ হানিফ নামে এক ব্যক্তি আদালতে পিটিশন দিয়েছিলেন। সেই পিটিশনের শুনানিতেই মৌলবি মুফতি জানিয়েছেন, ইমরান এবং বুশরার বিয়ে শরিয়া আইন মেনে হয়নি।
মুফতি জানান, বুশরার ‘ইদ্দত’-এর সময় বিয়েটা হয়েছিল। মহিলাদের স্বামী মারা গেলে বা বিচ্ছেদ হলে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়। তার পরই বিয়ে করা যায়। এই সময়কালকে বলে ‘ইদ্দত’। একে শোকের সময় বলে ধরে নেওয়া হয়। তাই এই সময় মুসলিম মহিলারা বিয়ে করতে পারেন না।
মৌলবি মুফতি জানান, ২০১৮ সালে লাহোরের ডিফেন্স হাউসিং সোসাইটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে ইমরানের বিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে বলা হয়েছিল। এক মহিলা, যিনি নিজেকে বুশরা বিবির বোন দাবি করেছিলেন, তিনি সম্মতি দেওয়ার পর বিয়ে হয়েছিল। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি হয়েছিল সেই বিয়ে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফের তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইমরান। তিনি জানান, দ্বিতীয় বার বুশরা বিবির সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিতে হবে। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল, প্রথম বারের বিয়ে শরিয়া আইনের বিরোধী। মুফতির দাবি, প্রথম বারের বিয়েটা যে শরিয়া আইনের বিরোধী, তা বুশরা এবং ইমরান দু’জনেই বুঝেছিলেন। কিন্তু ইমরান বিয়ের জন্য নাছোড় ছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, এই বিয়েটা তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করবে।
অন্য একটি বিবৃতিতে মুফতি বলেন যে ইমরান খান এবং বুশরা বিবি উভয়েই পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতেন। সাঈদের মতে ইমরান খান বিশ্বাস করেছিলেন যে বুশরাকে বিয়ে করার পদক্ষেপ তাকে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করবে। আবেদনকারী হানিফ রমজানের চতুর্থ দিনে তারাবিহ নামাজের জন্য আলেমদের কাছে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি ইমরান ও বুশরার বিয়ের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। আদালত ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন। বুশরা বিবির লাইমলাইটে আসার খবর অবশ্য এই প্রথম নয়। অতি সম্প্রতি তোশাখানা মামলায় ইমরান খানের সমর্থক ও পাঞ্জাব পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তিনি শিরোনামে আসেন।