বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে সভা-জনসভায় মেতে উঠেছে শাসক থেকে বিরোধী। জেলায় জেলায় চলছে কর্মসূচী। আজ সিউড়িতে (Siuri) বিজেপির সভা শাহী সভা ছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেই সভা থেকেই হুঙ্কার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। শাহের সামনেই বাংলা থেকে ‘পিসি-ভাইপোর রাজ’ শেষ করার শপথ নিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহাড়বন্দি। আর কেষ্ট গড়ে দাঁড়িয়েই কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত সহ গোটা তৃণমূলেকে। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু বলেন, “এই জেলাকে দুর্বৃত্তদের হাতে পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জেলাতে ভোট পরবর্তী হিংসায় সবচেয়ে অত্যাচারী, তিনি কোথায়? আমি এই ভরা সভাতে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, এখনও যারা ভাবছেন আগামী নির্বাচনগুলোতে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের একই কায়দায় আক্রমণ করব, লাঞ্ছনা করব, তারা শুনে রাখুন কান খুলে আপনাদের অবস্থাও অনুব্রত মণ্ডলের মতো হবে।”
চৈত্রের দগ্ধ গরমে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, “পরিবারতন্ত্র আর তোষণের রাজনীতি চলে দেশের দুটি রাজ্যে। একটা পশ্চিমবঙ্গ আরেকটা তেলেঙ্গানা। আগামী দিনে এই দুটো রাজ্যে আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব।” এ যেন পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে বাংলায় থেকে তৃণমূল রাজত্বকে ধ্বংস করার দায়িত্ব নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শাহী সভায় শুভেন্দুর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। যদিও আজ সুকান্তর তীরের নিশানায় ছিলেন শাসকদলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে দাঁড়িয়েই তার মন্তব্য, “তৃণমূলের প্রচুর নেতা আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর অত্যাচার করছে,ভয় দেখাচ্ছে, কার সাহসে? ভাইপোর সাহসে, কয়লা ভাইপোর সাহসে।”
শুধু তাই নয়, এরপরেই কারও নাম নিয়েই সুকান্ত বলেন, “খোকনের ডাক এসে গিয়েছে সিবিআইয়ের কাছ থেকে।” রাজ্য সভাপতি কারও নাম উল্লেখ না করলেও এদিন নিজের কথায় যে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই খোঁচা দিতে চেয়েছেন তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এসবের উর্দ্ধে আজ শুভেন্দু-সুকান্ত দুজনাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়টি তুলে ধরেন।