বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলা হয়, ভাগ্যের চাকা কখন কীভাবে ঘুরে যাবে তা কেউ বলতে পারে না। ভাগ্য এমনই জিনিস যা একবার খুললে রাতারাতি ফকিরকে রাজা বানিয়ে দিতে পারে। হঠাৎ করেই একজন গরিব মানুষ হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি। না, কোনও গল্পকথা নয়, লটারি (Lottery) জিতলে এমন সত্যিই হতে পারে। ঠিক যেমনটা ঘটল শিলিগুড়ির বাসিন্দা উত্তম সরকারের।
বিকেলে কাটা লটারি টিকিটে রাতের মধ্যেই কোটিপতি হয়ে গেলেন তিনি। যাকে প্রকৃত অর্থেই বলা হয় রাতারাতি কোটিপতি হওয়া। বিজেতা উত্তম সরকারের আদি বাড়ি রায়গঞ্জের আমবাড়িতে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানকারই একটি স্থানীয় দোকান থেকে লটারির টিকিট কাটেন তিনি। সন্ধ্যায় এই টিকিটের ফলাফল বেরোয়। টিকিটের নম্বরের সঙ্গে ফলাফল মেলাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় উত্তম সরকারের!
তিনি দেখতে পান, প্রথম পুরস্কার পেয়েছে তাঁর টিকিট নম্বরটিই। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১ কোটি টাকা জিতে নিয়েছেন এই মাছ বিক্রেতা। ফলাফল দেখা মাত্রই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান উত্তম বাবু। তিনি বোধ হয় ভাবতেও পারেননি যে মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে কাটা টিকিটেই তাঁর ভাগ্য এভাবে খুলে যাবে। মাত্র ৩০ টাকা খরচ করে তিনি পেয়ে গেলেন এক কোটি টাকা।
লটারিতে এত টাকা জিতে স্বভাবতই খুশি উত্তম বাবু। তিনি বলেন, “আমি মাছ বিক্রি করি। বৃহস্পতিবার বিকেলে আমবাড়ি বাজার থেকে ৯০ টাকা দিয়ে লটারি টিকিট কাটি। সন্ধ্যায় সেই লটারির ফলাফল বেরোয়। আমি টিকিট নম্বর মেলাতে গিয়েই চমকে উঠি।” তিনি আরও বলেন, “আমি দেখতে পাই, ৩০ টাকার টিকিটে এক কোটি টাকা পুরস্কার জিতে গিয়েছি!”
এত টাকা নিয়ে উত্তম বাবুর কী করার পরিকল্পনা রয়েছে? তিনি জানিয়েছেন, মাছ বিক্রেতা হওয়ার জন্য তেমন আয় হয় না তাঁর। তাই এই টাকা দিয়ে ছেলে ও মেয়ের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করবেন। তাঁদের জন্য এই টাকা রেখে দেবেন তিনি। এছাড়াও একটি বাড়ি বানাবেন বলেও জানিয়েছেন শিলিগুড়ির এই মাছ বিক্রেতা। লটারিতে এক কোটি টাকা জেতার পর উত্তম বাবু সটান চলে যান আমবাড়ি ফালাকাটা পুলিশ ফাঁড়িতে। সেখানে গিয়ে নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেন এই মাছ বিক্রেতা।