বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ আইপিএলে (IPL 2023) আরও একবার একটি শেষ ওভার থ্রিলার উপহার দিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ২ উইকেটে লখনৌ সুপারজায়ান্টসকে (LSG) হারালো পাঞ্জাব কিংস (Punjab Kings)। আজ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুলের (KL Rahul) লখনৌ শুরুটা অত্যন্ত ভালোভাবে করেছিল। ওপেনার কাইল মেয়ার্স এবং রাহুলের মধ্যে ৫৩ রানের একটি পার্টনারশিপ হয়। কিন্তু তারপর থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট তুলতে থাকে পাঞ্জাব কিংসের বোলাররা। ক্রুনাল পান্ডিয়া, মার্কাস স্টোইনিসরা সেট হয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। মাঝের ওভারগুলিতে হরপ্রীত ব্রার, শর্টরা রান তোলাটা মুশকিল করে দিয়েছিলেন।
কিন্তু লোকেশ রাহুল একপ্রান্ত সামনে রেখেছিলেন এবং মধ্যম গতিতে নিজের অর্ধশতরানটি সম্পূর্ণ করেন যা ছিল এই মরশুমে তার প্রথম। পাঞ্জাব কিংসে আজ অধিনায়ক হিসেবে ছিলেন না শিখর ধাওয়ান। চোটের কারণে তিনি আজ মাঠে নামতে পারেননি। তার বদলে পাঞ্জাবের নেতৃত্বের দায়িত্ব ছিলেন ইংল্যান্ড তারকা স্যাম ক্যারান। তিনি ৩ উইকেট নিয়ে আজকের ম্যাচের সবচেয়ে সফল বোলার। শেষ পর্যন্ত লোকেশ রাহুলের ৫৬ বলে ৭৪ রানের ইনিংসে ভর করে পাঞ্জাবের সামনে জয়ের জন্য ১৬০ রানের লক্ষ্য রেখেছিল লখনৌ। দুটি উইকেট পেয়েছিলেন কাগিসো রাবাদাও।
এরপর রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে-এর মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাঞ্জাব কিংস। শিখর ধাওয়ানের অনুপস্থিতিতে অত্যন্ত আগ্রাসী ব্যাটিং করছিলেন ম্যাথু শর্ট। কিন্তু ২২ বলে ৩৪ রান করার পর পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে আউট হন তিনি। এই সময় অসাধারণ বোলিং করেছেন লখনৌয়ের তরুণ বোলার যুদ্ধবীর সিং।
কিন্তু পাঞ্জাবকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন জিম্বাবোয়ের তারকা ক্রিকেটার সিকান্দার রাজা। ক্রুনাল পান্ডিয়ার একটি ওভারে পরপর দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন তিনি। আইপিএলে নিজের প্রথম অর্থশতরানটি তুলে নেন তিনি এবং বেশি দায়িত্বের সাথেই ব্যাটিং করছিলেন একটা সময় অবধি। কিন্তু ১৮ তম ওভারের শেষ বলে বড় শট মারতে গিয়ে রবি বিশ্নইয়ের শিকার হন তিনি ব্যক্তিগত ৫৭ রানে।
তবে ক্রিজে তখনও ছিলেন পাঞ্জাবের মারকুটে ফিনিশার শাহরুখ খান। এই মুহূর্তে পার্পল ক্যাপের অধিকারী মার্ক উডকে দুটি বিশাল ছক্কা মেরে পাঞ্জাবকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল সাত রানের। রবি বিশ্নইয়ের ৩ বল বাকি থাকতে ম্যাচ শেষ করে দেন তিনি। এই দুর্দান্ত ম্যাচ জয়ের পর লখনৌ উঠে এলো পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে। কেকেআর আপাতত টপ ফোর থেকে বেরিয়ে গেল।