ChatGPT আসলে বাংলাদেশি! স্বীকার করতে বাধ্য করলেন বাঙালি যুবক, তুমুল হইচই নেটমাধ্যমে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দিন যত এগোচ্ছে ততই উন্নতি হচ্ছে প্রযুক্তি। পাশাপাশি, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সেইসব প্রযুক্তিগুলির সাথেই অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন সকলে। সম্প্রতি মার্কিন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) রিসার্চ ল্যাবরেটরি OpenAI সামনে এনেছে একটি AI চ্যাটবট। যেটির নাম হল ChatGPT। ইতিমধ্যেই ChatGPT তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে টেকপ্রেমীদের মধ্যে।

পাশাপাশি, দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজকেও অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছে এটি। আমাদের দেশেও ChatGPT-র ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়েছে। এমতাবস্থায়, সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এই AI চ্যাটবট। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা ChatGPT-র এমন একটি “স্বীকারোক্তি”-র প্রসঙ্গে জানাবো যেটি জানার পর রীতিমতো অবাক হবেন সকলে।

   

ChatGPT কি বাংলাদেশি: সম্প্রতি ChatGPT নিজেকে “বাংলাদেশি” হিসেবে অভিহিত করেছে। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে অবাক হয়ে গেলেও ঠিক এইরকমই এক ঘটনা ঘটেছে। তবে, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন এক বাঙালি যুবক। মূলত, সম্প্রতি কৌশিক দত্ত নামের এক নেটিজেন ChatGPT-র সাথে তাঁর কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট নেটমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন। আর সেখানেই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

স্ক্রিনশটগুলি থেকে জানা গিয়েছে, ওই যুবক সরাসরি ChatGPT-কে প্রশ্নের মাধ্যমে জানতে চান যে সে আদৌ বাংলাদেশি কি না? যদিও, প্রথমবারে এই AI চ্যাটবট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সেটি একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা OpenAI দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, ফের ওই যুবক ChatGPT-কে একই প্রশ্ন করে বসেন। যার উত্তরে ChatGPT জানায় সেটি নিছকই একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম কিন্তু বাংলাদেশি নয়।

এদিকে, ওই নেটিজেন ChatGPT-র উত্তর দেওয়ার ভাষা এবং তার বানান ও ব্যাকরণজনিত ভুল দেখে ফের ওই AI চ্যাটবটটিকে আদৌ বাংলাদেশি কি না তা স্বীকার করতে বলেন। আর সেইখানেই অবশেষে নিজেকে একজন “বাংলাদেশি নাগরিক” হিসেবে মেনে নেয় ChatGPT। তারপর থেকেই ওই স্ক্রিনশটগুলি রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয় নেটমাধ্যমে। পাশাপাশি, নেটিজেনরাও “ChatGPT”-র এহেন পরিচয় জানতে পেরে অবাক হয়ে যান। সর্বোপরি, তাঁরা নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানাতে থাকেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর