বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu Adhikari)। নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে এদিন ছবি পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানে দেখ যাচ্ছে একটি বাসকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিসের গাড়ি। এই ছবি দেখিয়েই শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন ওই বাসটির মধ্যে কী ছিল যে এত পুলিসি নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে?
একের পর এক টুইট করে তৃণমূলকে তোপ দাগছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন আরও একটি ছবি শেয়ার করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই ছবির সঙ্গেই তিনি লেখেন, ‘কলকাতা পুলিস একটি বাস এত পাহারা দিয়ে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? এসএসসি দুর্নীতি বা কয়লা কেলেঙ্কারির সমস্ত নথিপত্র কারুর অফিস থেকে সরানো হচ্ছে কি? নাকি প্রচুর পরিমাণ টাকা সরানো হচ্ছ?’ এই পোস্টে তিনি ট্যাগ করেছেন কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলকে।
‘@CPKolkata Vineet Goyal would you care to explain why @KolkataPolice personnel were escorting a Bus (Registration No. MH47 BL0342; Eicher Pro Model) to & from Patuapara; Kalighat, last evening?
Heaps of cash, SSC & Coal Scam evidence may have been shifted from someone’s Office. pic.twitter.com/8SGRgGFQgi— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) April 17, 2023
এই পোস্টে বাসটির রেজিষ্ট্রেশন নম্বর এবং মডেল নম্বর ও উল্লেখ করেছেন। এরই সঙ্গে বিরোধী দলনেতা ইডি এবং সিবিআইকে ট্যাগ করে লিখেছেন, ‘রাত ১১:৫০ থেকে ১২:৪০ পর্যন্ত পাতুয়াপাড়া এলাকার সমস্ত যানবাহনকে নজর করা হোক। এটা হতে পারে, বিশেষ কারুর দফতর থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে নিয়ে গিয়ে তা ধ্বংস করা হচ্ছে।’
আজ সকালেই শুভেন্দুর আরও একটি টুইট মারাত্মক ভাইরাল হয়। নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিনে একটি টুইটে ৬ টি ছবি শেয়ার করেন। প্রত্যেকটি ছবির উপরে লেখা রয়েছে ‘তোলামুল সার্ভিস কমিশন’। প্রত্যেকটি ছবি তৃণমূলের এক এক জন নেতা মন্ত্রীর নাম উল্লেখ রয়েছে। এরই সঙ্গে ওই ব্যক্তি যে চাকরিপ্রার্থীদের নাম সুপারিশ করেছেন তাঁদের নামও রয়েছে।
এই ছবিগুলি শেয়ার করে শুভেন্দু লেখেন, ‘তৃণমূল মানেই চোর! বহুবার সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বলেছি, এক-দুই নয় প্রায় শতাধিক তোলামুল কোম্পানির বিধায়কদের সুপারিশে কোথাও নিজেদের আত্মিয়স্বজন চাকরি পেয়েছে আবার কোথাও মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে। আবার মহামান্য আদালতের নির্দেশের ফলে মুখ্যমন্ত্রী সহ একাধিক তোলামুল নেতার ভাই, ছেলে, মেয়ে, ভাগ্নি কিংবা স্বামীর চাকরি গেছে। তা জনসমক্ষে আগেই এসেছে।’