শরীরটা ভালো নেই! বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়তেই বললেন অনুব্রত

বাংলা হান্ট ডেস্ক : করার নেই কিছুই। আপাতত তিহাড় সংশোধনাগারেই দিন কাটাতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal)। গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) ফের বিচার বিভাগীয় হেফাজত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। আগামী ১৪ দিনের জন্য এই নির্দেশ দিল দিল্লি সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালত। অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও (Manish Kothari) থাকতে হবে সংশোধনাগারে। আগামী ১ মে হতে চলেছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

আজ সোমবার হুইল চেয়ারে বসে আদালতে পৌঁছন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর পরনে ছিল সাদা রংয়ের টি-শার্ট। জেল হেফাজতের মেয়াদবৃদ্ধির পর আদালত থেকে হতাশ মুখে বেরিয়ে আসেন তৃণমূল নেতা। তিনি জানান, ‘শরীর ভাল নেই’। এদিন সিবিআই-র বিশেষ আদালতের বিচারককেও একই কথা জানান অনুব্রত আইনজীবী। জেল থেকে কেষ্টর মেডিক্যাল ফাইল আদালতে নিয়ে  আসার নির্দেশ দেন বিচারক।

anubrata

জানা যাচ্ছে, দিল্লি হাইকোর্টে সেই শুনানি এগিয়ে আনার আবেদন জানাতে চলেছেন অনুব্রতর আইনজীবী। পাশাপাশি দিল্লির পরিবর্তে প্রয়োজনে কলকাতায় ইডি দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক, এই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করতে চলেছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল।

প্রসঙ্গত, বীরভূমের কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ১৭৭টি বেনামি আকাউন্টের হদিশ মিলেছিল আগেই। তারপর আরও ৫৪টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ঘুরপথে কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের রাইস মিলে গিয়েছে সেই টাকা। এমনকী ২০০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে, যার গ্রাহক একজনই।

গত বছরের জুলাই মাসে গরু পাচার মামলায় বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেপ্তারির পরই আধিকারিকরা পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির খোঁজ পান। বিপুল সম্পত্তির উৎসের খোঁজে নামে ইডি। সেই অনুযায়ী তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়। আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের পর বর্তমানে অনুব্রতর ঠিকানা তিহাড় জেল। সেখানেই আরও ১৪ দিন থাকতে হবে তাঁকে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর