তৃণমূল এখন পাঁচিলের উপরে আর পচা পুকুরে! দুর্নীতি প্রসঙ্গে শাসক দলকে তুমুল খোঁচা শুভেন্দুর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে শাসকদলের হেভিওয়েট মন্ত্রী থেকে একাধিক নেতার। সেই নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। অন্যদিকে দুদিন আগেই সিভিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha)। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এবার এই ইস্যুতেই তৃণমূলকে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikar)।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে জেলায় জেলায় সভায় মেতে উঠেছে শাসক-বিরোধী সকলেই। কিছুদিন আগেই বাঁকুড়ার ওন্দায় সভা করেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল সেই ওন্দাতেই পাল্টা সভা করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক। আর সেই সভাতে দাঁড়িয়েই জীবনকৃষ্ণ প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের শাসকদলকে।

   

ঠিক কী বললেন শুভেন্দু? এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, “তৃণমূল এখন কোথায় আছে জানেন? দুটো জায়গায় আছে। পাঁচিলের উপরে আর পচা পুকুরে!” তার সংযোজন, “তোলামূলের জীবন ভিতরে চলে গেছেন। কিন্তু তিনি পাঁচিল টপকে পালাতে চেষ্টা করেছিলেন, পারেননি। মোবাইল ছুড়ে ফেলেছিলেন পুকুরে। পাঁকের তলা থেকে তা বের করা হয়েছে! এই হল এখন শাসকদলের অবস্থা।”

শুভেন্দু আরও বলেন, “তৃণমূল একটা মডেল তৈরি করেছে। সেই মডেলে কারা আছেন? পার্থ-অর্পিতা, অনুব্রত-সায়গল, কুন্তল-শান্তনু!” প্রসঙ্গত, প্রায় ৬৫ ঘণ্টা তল্লাশি ও ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর সোমবার ভোর সওয়া ৫টা নাগাদ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এই ইস্যু নিয়েই এদিন শাসকদলকে জোর আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা।

suvendu adhikari .

গত বুধবার ওন্দায় এসে অভিষেক বলেছিলেন, “২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে জিতিয়ে ‘পাপ’ করেছেন বাঁকুড়ার মানুষ। তারা এ বার ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করবেন।” যুবরাজের এই মন্তব্যেরও জবাব দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার মানুষ আপনার মতো চিকিৎসা করাতে আমেরিকায় যেতে পারেন না। কারণ, ওদের অত টাকা নেই। বাঁকুড়ার দরিদ্র মানুষ পান্তাভাত, মুড়ি, ছোলা, ডাল-ভাতে জীবন যাপন করেন। তারা পাপী নন।’’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর