বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মিড–ডে মিল (Midday Meal Scheme) প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য! এমনটাই অভিযোগে সরব কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) প্রতিনিধিদল। অন্যদিকে, কেন্দ্রের অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) দাবি, দুর্নীতি নয়, উল্টে মিড–ডে মিল খাতে সাশ্রয় করেছে রাজ্য। অর্থাৎ, টাকা বাঁচিয়েছে মমতা সরকার। এই দাবি নিয়ে এদিন এক টুইটও করেন শিক্ষামন্ত্রী।
টুইট করে ব্রাত্য বসু লেখেন, ‘অযথা চায়ের কাপে তুফান না তুলে জয়েন্ট রিভিউ মিশনের চেয়ারপার্সন অনুগ্রহ করে ওই অপদার্থতার জবাব দিন। ১৩ তম জয়েন্ট রিভিউ মিশনে রাজ্যের প্রতিনিধিকে বাদ দিয়ে কেন্দ্র তড়িঘড়ি মিড–ডে মিল সংক্রান্ত পরিদর্শনের রিপোর্ট তৈরি করেছিল। আর মিড– ডে মিল প্রকল্পে ১৮.৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে রাজ্য সরকার। ১০০ কোটি টাকা নয়ছয় বা লোকসান হয়নি।’
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে জয়েন্ট রিভিউ মিশনের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক অভিযোগ করা হয়েছিল, ২০২২ সালে মাত্র ছমাসের মধ্যেই মিড ডে মিল প্রকল্পে প্রায় একশো কোটি টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার। অভিযোগ ছিল, ওই ছমাসে সরকার মিড ডে মিল বাড়তি হিসেবে দেখিয়েছে। জয়েন্ট রিভিউ মিশনের সেই রিপোর্ট সামনে আসতেই তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্যে।
এবার কেন্দ্রের তোলা এই অভিযোগই নস্যাৎ করে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জয়েন্ট রিভিউ মিশনে রাজ্যেরও প্রতিনিধি রয়েছেন। তাকে না জানিয়েই মিশনের রিপোর্ট কেমন করে প্রকাশ্যে আনা হল বোঝা যাচ্ছে না। বিষয়টি অত্যন্ত অনৈতিক। তবে নয়ছয় তো দূরের কথা রাজ্য সরকার ওই সময়কালের মধ্যে ১৮.৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে মিড–ডে মিল খাতে।’
একাধিকবার মিল-ডে-মিল প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার অভিযোগ, অন্যান্য ক্ষেত্রের পাশাপাশি রাজ্যে মিড–ডে মিল প্রকল্পেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অত্যধিক গরমের জন্য এই গোটা সপ্তাহে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে শিক্ষা দফতর। মমতার সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মিড ডে মিলের টাকা চুরি করবে বলেই সাত দিন স্কুলে ছুটি দেওয়া হয়েছে।