বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুই সন্তানের জননী বৃদ্ধার বয়স পেরিয়েছে ৭০ বছর। জীবনের শেষ লগ্নে এসে হটাৎ এই মহিলা পরিণত হলেন পুরুষে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) জামালপুরের পাঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা রেখা চট্টোপাধ্যায়ের সাথে। তার এই লিঙ্গ পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে আধার কার্ড (Aadhaar Card)।
রেখা দেবী জানিয়েছেন, আধার কার্ড তৈরি করার জন্য তিনি স্থানীয় পোস্ট অফিসে যাবতীয় নথিপত্র জমা করেন। এরপর নিয়মমাফিক তার বাড়িতে পৌঁছায় আধার কার্ড। এরপর সেই আধার কার্ড খুললে দেখা যায় তাতে তাকে পুরুষ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আধার কার্ডটিতে রেখা দেবীর নাম, ঠিকানা ঠিক থাকলেও লিঙ্গের জায়গায় ভুল করে ‘ পুরুষ ‘ ছাপানো হয়েছে।
রেখাদেবীর জানান, “স্বামী মারা যাবার পর স্ত্রী হিসাবে আমি পেনশন পাওয়ার যোগ্য। তাই সরকারি দফতরে নিজের নথিপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন হয়। এবার আধার কার্ডে আমাকে পুরুষ বলে উল্লেখ থাকায় বেজায় সমস্যায় পড়েছি। এটা সংশোধনের জন্য সম্প্রতি আমি নবগ্রাম পোস্ট অফিসে যাই।”
এই ভুলের জন্য এখন রেখা দেবীকে পড়তে হচ্ছে নানাবিধ সমস্যায়। অন্যদিকে, আধার কার্ডটি পুনরায় সংশোধন করার জন্য ফের একবার পোস্ট অফিস যান রেখা দেবী। নতুন করে জমা দিয়ে আসেন নথি। কিন্তু এরপরও নাকি সমস্যার সমাধান হয়নি। সংশোধন করে যে আধার কার্ডটি পাঠানো হয়েছে তাতেও নাকি রেখা দেবীকে পুরুষ বলা হয়েছে।
শুধু সামাজিক সম্মানহানিই নয়, এই আধার কার্ডে ভুলের জন্য রেখা দেবীর যে হয়রানি হচ্ছে তার খেসারত দেবে কে? রেখা দেবীর দুই পুত্র রবিশংকর ও উদয়শংকর কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। এই দুই আইনজীবী পুত্র এখন ভাবছেন বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার। তবে, ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে যে বর্ধমানে শোরগোল পড়ে গিয়েছে তা বলাই বাহুল্য।