বাংলাহান্ট ডেস্ক: একজন নারীর পোশাকের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হল ব্রা বা ঊর্ধাঙ্গের অন্তর্বাস। আপাতদৃষ্টিতে একটি স্বাভাবিক জিনিস হলেও আজও সমাজে এটি নিয়ে নানা রকম ছুঁৎমার্গ রয়েছে। আজও খোলাখুলি ব্রা নিয়ে কথা বলা হয় না। ব্রা (Bra) যেন একটি নিষিদ্ধ জিনিস। অথচ প্রতিটি মহিলারই অন্তর্বাসের একটি অংশ এই পোশাক। ঠিক যেমন পুরুষদের অন্তর্বাস হয়, মহিলাদেরও অন্তর্বাস হয়। কিন্তু সমাজে আজও এটি নিয়ে সেভাবে কথা বলা হয় না। ফলত একজন মহিলার পক্ষে অনেক সময়েই দোকান থেকে ব্রা কেনা অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে।
আপনি কি জানেন ‘ব্রা’ শব্দটি আসলে সংক্ষেপে বলা হয়। এটির পুরো নাম জানেন? ব্রা একটি পোশাক হলেও আজও এটি নিয়ে অনেক ছুঁৎমার্গ রয়েছে। ব্রা মহিলাদের জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু এত কিছুর পরেও বহু মানুষই এর কার্যকারিতার ব্যাপারে জানেন না। চঅনেকে এও জানেন না যে ব্রায়ের একটি পুরো নাম আছে। ব্রা আসলে সংক্ষেপে বলা হয়। ফরাসি শব্দ ব্রাসিয়ের-এর থেকে ব্রা শব্দের উৎপত্তি। ব্রাসিয়েরকেই সংক্ষেপে বলা হয় ‘ব্রা’।
১৮৯৩ সালে নিউ ইয়র্কের ইভিনিং হেরাল্ড খবরের কাগজে প্রথম এই শব্দটির ব্যবহার করা হয়। ১৯০৪ সালে এটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে যায়। তারপর ১৯০৭ সালে ভোগ তাদের ম্যগাজিনে প্রথমবারের জন্য ব্রাসিয়ের শব্দটি ছাপায়। সেই থেকেই আরও প্রচলিত হয়ে ওঠে শব্দটি। এরপর ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে প্রচলিত ও স্বাভাবিক হয়ে যায় ব্রাসিয়ের বা ব্রা শব্দটি। এর কিছু বছর পর অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশেনারিতেও এই শব্দটি সংযুক্ত করা হয়।
ব্রাসিয়ের শব্দের আসল অর্থ শিশুর অন্তর্বাস। পরে এটি সকল মহিলাদের অন্তর্বাস বোঝানোর জন্যই ব্যবহার হতে থাকে। অন্য একটি মতে ব্রায়ের আরও একটি পুরো নাম আছে। সেটি হল ‘ব্রেস্ট রেস্টিং এরিয়া।’ অর্থাৎ এমন একটি জিনিস যার উপর স্তনকে বিশ্রাম দেওয়া যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্রায়ের নকশায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের ব্রা দেখতে পাওয়া যায়। আজকের দিনে ব্রায়ের কাপ সাইজ একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।
কিন্তু প্রথমদিকে ব্রায়ের কোনও কাপ সাইজ হত না। কাপ ছাড়া ব্রা মহিলাদের জন্য অস্বস্তিকর হত তা বলাই বাহুল্য। কাপ সাইজ প্রথম আবিষ্কার হয় ১৯৩০ সালে। এস এইচ ক্যাম্প কোম্পানি বলে একটি সংস্থা এটির আবিষ্কর্তা। বর্তমানে ইংরেজি বর্ণমালার এ থেকে ডি অবধি কাপ সাইজের ব্রা পাওয়া যায়। আপনি কি জানেন? আজও অধিকাংশ মহিলা ভুল সাইজের ব্রা পরেন। একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্ট অনুসারে, এখনও বিশ্বের ৮০ শতাংশ মহিলা ভুল মাপের ব্রা পরেন। ফিটিং এবং মাপ নেওয়ার পরেও ভুল মাপের ব্রা পরেন তাঁরা।
সাধারণত কাপড়ের কোনও এক্সপায়ারি ডেট হয় না। যতদিন অবধি না সেটি ছিঁড়ছে, ততদিন অবধিও বহু মানুষ একটি পোশাক পরেন। বা যতদিন না পুরোনো হচ্ছে। অনেকে পুরোনো কাপড় পরেন না। তবে সেটি সম্পূর্ণ মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপার। পোশাকের এক্সপায়ারি ডেট হয় বললে আপনিও চমকে উঠবেন। কিন্তু আপনাকে জানিয়ে রাখি, ব্রায়ের এক্সপায়ারি ডেট হয়। ব্রা আপনি বছরের পর বছর ধরে পরতে পারবেন না। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সেটি বদলাতেই হবে। অধিকাংশ মহিলা বছরের পর বছর ধরে একই ব্রা পরেন। কিন্তু এটি আসলে ভুল। একটি ব্রায়ের মেয়াদ হয় ৮ থেকে ৯ মাস। তাই প্রতি ৮-৯ মাসে একবার ব্রা বদল করা উচিত। এমনই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।