বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পার্থ, শান্তনু এখন অতীত! মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) সম্পত্তির পরিমান দেখে চোখ কপালে তদন্তকারীদের। দুদিন আগেই বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে শাসকদলের এই বিধায়কের। বর্তমানে সিবিআই (CBI) হেফাজতে তিনি। আটঘাট মেনে তদন্তে নেমেছেন তদন্তকারী অধিকারীকরা। আর তদন্তে এখনও পর্যন্ত যা তথ্য সামনে এসেছে তাতে সকলের চক্ষু চড়কগাছ। আয় বহির্ভূত লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পত্তির মালিক জীবনবাবু।
দুদিনের তদন্তেই জীবনকৃষ্ণ সাহার মোট ১১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। যার মধ্যে তার নিজের নামে রয়েছে ৮টি এবং স্ত্রী টগরীর নামে রয়েছে ৩টি ব্যাংক অ্যাকউন্ট। সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছাড়িয়ে যেতে পারে ৩০০ কোটির গন্ডি। নির্বাচনী হলফনামায় জীবনবাবু যে পরিমান সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন তার
চেয়েও বিধায়কের অনেক গুন হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর সিবিআই সূত্রে।
জানা গিয়েছে, জীবনকৃষ্ণ সাহা ও তার স্ত্রী টগরীর নামে ১১টি অ্যাকাউন্টে মোট ১ কোটি ১২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬৩০ টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। অন্যদিকে, নগদ ছাড়া জীবনকৃষ্ণের অন্যান্য সম্পত্তির পরিমানও মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো।বর্তমানে বিধায়কের পাশাপাশি একটি স্কুলের শিক্ষক তিনি। সূত্রের খবর, গত ৪-৫ বছরে বিপুল পরিমান সম্পত্তি কিনেছেন বিধায়ক। কান্দিতে রয়েছে একটি রাইস মিল সহ ৪ বিঘে জমি। কান্দি হাই স্কুলের পিছনে একটি পুকুর ও গ্যাসের গোডাউনের মালিক তিনি। মুর্শিদাবাদে কমবেশি করে ৩৫ বিঘা জমি রয়েছে বিধায়কের। যেগুলির টাকা দেওয়া হলেও রেজিস্ট্রি হয়নি।
কেবল নিজের জেলায় নয়, অনুব্রত গড় বীরভূমেও বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে তার। সাইথিয়া পুরসভা এলাকায় ৫ কাঠা, শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের আয়ত্তে ৪ কাটা, লাউতোর এলাকায় ২৪ কাঠা জমির মালিক বিধায়কে। সাঁইথিয়া এলাকায় জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে একটি ব্যাংক চলে, রয়েছে একটি রাইস মিল। এছাড়া সেই এলাকায় মত ৪ টি বাড়ি জীবনকৃষ্ণের। তবে তদন্তে এই সম্পত্তির পরিমান আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানিয়ে রাখি, জীবনকৃষ্ণর পরিবারে তিনকূলে কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। হঠাৎই ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী হন জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেই সময় কমিশনের কাছে পেশ করা হলফনামায় তিনি জানিয়েছিলেন বেসরকারি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার ৪০ লক্ষ টাকা রয়েছে। তবে বর্তমানে যা দেখা যাচ্ছে তাতে সবমিলিয়ে বিধায়কের সম্পত্তির পরিমান প্রায় ৩০০ কোটি বলে ধারণা তদন্তকারীদের।