বাংলাহান্ট ডেস্ক: আজ ১৯ এপ্রিল ধনকুবের মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) জন্মদিন। মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের নিরিখে তাঁর রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজই এই মুহূর্তে দেশের সব থেকে বড় সংস্থা। মুকেশ আম্বানি হলে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের (Reliance Industries) চেয়ারম্যান। এই ধনকুবেরের সম্পর্কে একাধিক মজাদার তথ্য পাওয়া যায় মাঝে মধ্যেই। তিনি নাকি টানা দু’বছর কোনও মাইনে নেননি রিলায়্যান্স থেকে! শুধু তাই নয়, তাঁর সংস্থায় যাঁরা বিনিয়োগ করেছেন, তাঁদের তিনি কোটি কোটি টাকা মুনাফা করে দিয়েছেন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মুকেশ আম্বানির বার্ষিক বেতন ১৫ কোটি টাকা। গত ১১ বছর ধরে এই একই বেতনে কাজ করছেন তিনি। করোনা মহামারির সময় টানা দু’বছর সংস্থা থেকে কোনও বেতন ছাড়াই কাজ করে গিয়েছেন তিনি। মুকেশ আম্বানি শুধু নিজেই নয়, রিলায়্যান্সের লগ্নিকারীদেরও ধনী করে তুলেছেন। জানা যায়, তাঁর সংস্থায় ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের সেই অর্থ বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ লক্ষ টাকায়।
আপনাকে জানিয়ে রাখি, ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক কাজকর্মেও একটি বড় ভূমিকা পালন করেন আম্বানি। হুরুনের জনহিতৈষি ব্যক্তিদের তালিকায় মুকেশ আম্বানির নাম রয়েছে তিন নম্বরে। ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জনহিতৈষি ব্যক্তি হলেন আম্বানি। গত বছর প্রায় ৪১১ কোটি টাকা দান করেছিলেন রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান। রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের মোট সম্পত্তি হল ১০ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।
ব্লুমবার্গের বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকা অনুযায়ী, মুকেশ আম্বানি হলেন বিশ্বের ১২ তম ধনীতম কোটিপতি। এত বছরে মুকেশ আম্বানি শুধু নিজেই নয়, রিলায়্যান্সের লগ্নিকারীদেরও ধনী বানিয়েছেন। তিনি ব্যবসার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একাধিক নয়া ব্যবসা শুরু করেছে রিলায়্যান্স। ২০০২ সালে বাবা ধীরুভাই আম্বানির মৃত্যুর পর সংস্থার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মুকেশ। তারপর থেকে রিলায়্যান্স ব্যাপক উন্নতি করেছে।
বর্তমানে তাদের মার্কেট ক্যাপিটাল ১৫.৮৪ লক্ষ কোটি টাকা। ২০০৩ সালে রিলায়্যান্সের শেয়ারের দাম ছিল প্রায় ৫৫ টাকা। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত বিপুল ভাবে বেড়েছে তাদের শেয়ারের দাম। বর্তমানে রিলায়্যান্সের একটি শেয়ারের দাম ২৩৫৩.৪৫ টাকা। এই সংস্থার শেয়ার লগ্নিকারীদের ৪১৪২ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। কুড়ি বছর আগে কেউ এই সংস্থায় ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে আজ তাঁর বিনিয়োগের মূল্য দাঁড়াত ৪২ লক্ষ টাকা।