বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ শেষবার যখন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কোনও ফুটবল প্রতিযোগিতায় সবুজ মেরুন শিবিরকে হারিয়েছিল তখনও করোনার আতঙ্ক গ্রাস করেনি পৃথিবীকে। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। এটিকে এবং মোহনবাগান মার্জ হয়ে জন্ম নিয়েছে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। আইএসএলের বা ডূরান্ডের কলকাতা ডার্বিতে একাধিকবার ইস্টবেঙ্গলকে পর্যদুস্ত করেছে সবুজ মেরুণ শিবির। কেটে গিয়েছে চারটি বছর। মোহনবাগান ভক্তদের দাবি মেনে এটিকে সরে যাওয়ার প্রক্রিয়াও প্রায় সম্পূর্ণ। চার বছর একবার ফুটবলের মাঠে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল।
প্রায় চার বছর পর ডার্বি জয়ের স্বাদ পেলেন ইস্টবেঙ্গল ভক্তরা। আজ রিল্যায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভলপমেন্ট লিগের (RFDL) শেষ ম্যাচে কুশ ছেত্রীর (Kush Chhetry) জোড়া গোলে ভর করে নৈহাটি স্টেডিয়ামে স্মরণীয় জয় পেলো ইস্টবেঙ্গল। দুই দলই আগে থেকেই পরবর্তী রাউন্ডের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছিল আজকে, শেষ ম্যাচে যারা জয় পাবে তারা জোনাল চ্যাম্পিয়নে পরিণত হবে সেটা মাথায় রেখেই দুই দল মাঠে নেমেছিল।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অবশেষে এটিকে মোহনবাগানকে ২-০ ফলে হারিয়ে জোনাল চ্যাম্পিয়ন হলো ইস্টবেঙ্গল। ১০ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ইস্ট জোনের চ্যাম্পিয়ন হলো লাল হলুদ শিবির। ছোটদের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য দলের কোচ বিনো জর্জকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন সমর্থকরা। তার গাইডেন্সেই এই দল গোটা লিগে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছে বলে বিশ্বাস বিশেষজ্ঞদের।
আজ কুশ ছেত্রী জোড়া গোল করলেও প্রশংসা পাচ্ছেন মুহাম্মদ রোশেল। প্রথম গোলটির ক্ষেত্রে যেভাবে উইং থেকে আক্রমণ তুলে এনে ক্রস করেছিলেন তিনি তা যে কোনও ফুটবলার মাঠে করে দেখানোর স্বপ্ন দেখেন। সেই সঙ্গে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সও।
এর আগে ডেভেলপমেন্ট লিগের প্রথম ডার্বি ড্র হয়েছিল। সেই ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগান দুর্দান্ত ফুটবল খেললেও গোলরক্ষক আদিত্য পাত্রর গ্লাভস বাঁচিয়ে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। সেদিন তার দুর্দান্ত গোলরক্ষণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেটা যেন আজকে আরও বেশি করে অনুভব করতে পারছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।