বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: একসময় তারা ছিলেন একই পথের পথিক। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন দুজনে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকে সবসময় অভিষেক ব্যানার্জীর আক্রমণের নিশানা বেশিরভাগ সময় একটি নির্দিষ্ট দিকেই স্থির থাকে। শুভেন্দুও কম যান না। একসময় যাদের মধ্যে সম্পর্কটা ছিল অনেকটা শিক্ষক এবং ছাত্রের মতো, আজ রাজনীতির আঙ্গিনায় তারা যেন একে অপরের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দী। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে হওয়া সাম্প্রতিক দ্বন্দ্ব এই বিষয়টিকে আরও একবার সামনে আনলো।
গোটা ঘটনাটি আরম্ভ হয়েছিল তখন, যখন তৃণমূল সাংসদরা আবাস যোজনার জন্য বকেয়া টাকা চেয়ে মিনিস্টার অফ রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পঞ্চায়েত রাজ ডিপার্টমেন্ট, গিরিরাজ সিংহকে চিঠি দেন। এর জবাব স্বরূপ পাঠানো চিঠিতে গিরিরাজ সিংহ তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ ব্যানার্জিকে জানান যে তাদের চিঠিটা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
একটি টুইটে এই দ্বিতীয় ঘটনাটিকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গিরিরাজ সিংহের পাঠানো চিঠিতে করা দাবীকে মহাকাব্যিক বলে মন্তব্য করেন। তারপর তিনি বলেন যে গিরিরাজ নিজেকেই নিজের জন্য পাঠানো চিঠি ফরওয়ার্ড করেছেন। আজ এই ঘটনা নিয়ে অভিষেককে পাল্টা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
গতকাল অভিষেক ব্যানার্জির করা পোস্টের পাল্টা টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। তিনি নিজের পোস্টে অভিষেককে তার অজ্ঞতার জন্য ব্যাঙ্গ করেছেন। তারপর গিরিরাজ নিজের টুইটে কি বলতে চেয়েছেন সেটিও ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছেন। তার এই মন্তব্য এখন বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ভাইরাল। অনেকেই মন্তব্য করছেন যে কিছুদিন আগে অভিষেক শুভেন্দুকে যে ফাঁপা বেলুন বলে ব্যাঙ্গ করেছিলেন, আজকের এই মন্তব্য ছিল তারই পাল্টা।
শুভেন্দু বলেন, “আচমকা একদিন ঘুম থেকে জেগে উঠে সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে গেলে এমনটাই হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও মন্ত্রকের কাজ কিভাবে চলে সেই সম্পর্কে যেকোনো ধরনের নেতা স্পষ্ট। মাননীয় মন্ত্রী গ্রামোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত রাজের দায়িত্ব সামলান। কাউকে ব্যঙ্গ করতে গিয়ে নিজেকেই হাসির পাত্র করে তোলা হয় অনেক সময়। আর হ্যাঁ, মনে রাখবেন যে এটা নতুন ভারত, আর আপনার পুরনো ধারণাকে এর সঙ্গেই মানিয়ে চলতে হবে।” যদিও অভিষেকের তরফ থেকে এখনো এই মন্তব্যের কোন পাল্টা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।