বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধুন্ধুমার দশা বঙ্গে। গত প্রায় একবছর থেকে আদালতের কড়া নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন হাজার হাজার অযোগ্য কর্মী। তবে এবার স্কুলের চাকরিহারাদের জন্য বড় খবর সামনে এল। আপাতত স্বস্তির মুখ দেখলেন তারা। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBCHSE) সরকারি কর্মীদের নিয়োগ পত্র বাতিলের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগপত্র বাতিল সংক্রান্ত একটি নোটিশ (Notice) জারি করেছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। তাতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের ১২,০৪,২৩ তারিখের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ পত্র বাতিলকরণের বিষয়ে পর্ষদ কর্তৃক জারি করা নোটিশ পরবর্তী কোনো নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত স্থগিত রাখা হল। এর আগে সুপারিশ পত্র বাতিল সংক্রান্ত নোটিশ দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
উল্লেখ্য, গত বছর নবম-দশমের শিক্ষক-শিক্ষিকা, গ্রুপ সি-ডি পদে শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে মোট সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি কর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ ছিল, চাকরিচ্যুতরা কেও আর নিজেদের কাজের জায়গায় যেতে পারবেন না। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় মামলা।
এরপর ১২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের রায় আপাতত কার্যকর হবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই অবস্থায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে চিঠি দেন কর্মচ্যুতদের আইনজীবী পার্থ শীল। কর্মচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের অবিলম্বে স্কুলে যোগদানের অধিকার দেওয়ার আর্জি নিয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন আইনজীবী।
এই নিয়েই টানাপোড়েন। যেহেতু কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে আপাতত সুপ্রিম স্থগিতাদেশ দিয়েছে তাই কর্মচ্যুতদের এই মুহূর্তে বাধা দেওয়া আইনি ভাবে সম্ভব নয় বলেই মত আইনজীবী মহলের। অন্যদিকে এই সময়ই এই নিয়ে নোটিশ দিল পর্ষদ। পূর্বে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সুপারিশ পত্র বাতিল সংক্রান্ত নোটিশ দিয়েছিল কমিশন। জানিয়ে রাখি, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল মামলাটি ফের সুপ্রিম কোর্টে ওঠার কথা রয়েছে। এরপর এই মামলা কোন মোড় নেয় সেটাই দেখার।