বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চর্চায় এখন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) তাপস সাহা (Tapas Saha)। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠেছে তার। গত শুক্রবারই তার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। এরপর থেকেই খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। কখনও দলের প্ৰতি বেসুরো তো কখনও সিবিআই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতেই দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে এলাহি পিকনিকে মেতে উঠেছেন বিধায়ক। এলাকায় বিশাল প্রতিপত্তি তার। সম্পত্তিও নাকি অঢেল। অনেকেরই মনে কৌতূহল যে ঠিক কত সম্পত্তি রয়েছে শাসকদলের এই বিধায়কের?
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে নদিয়ার তেহট্ট থেকে শাসকদলের টিকিটে ভোটে লড়ে জয়লাভ করেছিলেন তাপস সাহা। সে সময় নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা তিনি জমা দিয়েছিলেন সেই তথ্য অনুযায়ী, সে সময় তাপসবাবুর হাতে ছিল নগদ ৪৮ হাজার ৯৫০ টাকা। পাশাপাশি, হলফনামায় তাপস ছয়টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উল্লেখ ছিল।
বিধায়কের সেই ৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট গুলিতে রয়েছে যথাক্রমে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৬০৭ টাকা, ৬ লাখ ১৯০ টাকা, ১ লাখ ৮ হাজার ২৭৫ টাকা, ১০ হাজার টাকা, ১৩৮০ টাকা এবং ১০০ টাকা। পাশাপাশি তার ছেলের নামে থাকা একটি ব্যাঙ্ক তখন ছিল ৩৬০ টাকা ৭৬ পয়সা। এছাড়াও ছেলে ও তার নিজের নামে ২ লাখ টাকা করে দু’টি পলিসিও রয়েছে।
এখানেই শেষ নয়! একাধিক বাড়ি, গাড়ি ও জমির মালিক তৃণমূলের এই বিধায়ক। তাপসবাবুর নিজের নামে একটি মহিন্দ্রা বোলেরো গাড়ি ও একটি বাইক রয়েছে। ছেলের নামেও প্রায় ২ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি বাইক রয়েছে। পাশাপাশি তার ও ছেলের নামে একাধিক বাড়ি, জমি রয়েছে বিধায়কের। সব মিলিয়ে ছেলে ও নিজের মিলিয়ে বিধায়কের সম্পত্তির পরিমান প্রায় ২৫ লাখ টাকা। তবে এখানেও খটকা। কারণ লক্ষপতি বিধায়কের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের ব্যাঙ্ক ২০২২-এর শুরুর দিকে দু’মাসের মধ্যে প্রায় দু’কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই টাকার উৎস কী, বা বিধায়কের সাথে তার কোনো যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত শুক্রবার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তাপসবাবুর বাড়ি ও কার্যালয়ে দীর্ঘ তল্লাশির পর খালিহাতেই ফিরে গিয়েছেন আধিকারিকরা। সিবিআই বেরিয়ে যেতেই বিধায়ক বলেছিলেন, “ওরা কিছুই পায়নি। নিট ফল শূন্য।” আর আপাতত মনের আনন্দে বিধায়ক মশাই। তবে এ যে সিবিআই। দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে বর্তমানে তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে তৃণমূল বিধায়ক।