একদিন আগেও ছিল সুস্থ! কুনোতে ফের মৃত্যু হল আরেকটি চিতার, ঠিক কি ঘটেছিল?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাত্র একমাসের ব্যবধানে এবার ফের কুনো ন্যাশনাল পার্কে (Kuno National Park) মৃত্যু হল আরও একটি চিতার। গত ২৭ মার্চ ওই ন্যাশনাল পার্কে মৃত্যু হয় শাসা নামের একটি স্ত্রী চিতার। তবে এবার প্রাণ হারাল উদয় নামের একটি পুরুষ চিতা। এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে উদয় অসুস্থ ছিল। এমতাবস্থায়, চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়।

তবে, উদয়ের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উল্লেখ্য যে, এই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে ১২ টি চিতা নিয়ে আসা হয়েছিল। এদিকে, ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের প্রধান বন সংরক্ষক জেএস চৌহান ওই ৬ বছর বয়সী চিতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে যে, উদয় ২২ এপ্রিল পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ ছিল। কিন্তু, ২৩ এপ্রিল সকালে বন দফতরের দল লক্ষ্য করে যে, উদয়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তাকে ট্রানকুলাইজ করে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। এরপর বিকেল ৪ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই চিতাটি মারা যায়।

পাশাপাশি, জেএস চৌহান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমরা প্রতিদিন চিতাগুলিকে পরীক্ষা করি। শনিবার যখন আমাদের দল পরিদর্শনে যায়, তখন সব চিতা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। রবিবার সকালে দলটি যখন চিতাগুলিকে পরীক্ষা করতে বেরিয়েছিল তখন উদয়কে অসুস্থ দেখাচ্ছিল এবং সে মাথা নিচু করে হাঁটছিল।”

এছাড়াও, তিনি আরও বলেন ওই দল তাৎক্ষণিকভাবে পার্কের নির্দেশককে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করে এবং পশু চিকিৎসকদের একটি দলকে এনক্লোজারে পাঠানো হয়। উদয়কে অজ্ঞান করে পরীক্ষার জন্য কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছিল। তাকে ওষুধ ও স্যালাইনও দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪ টায় চিতাটির মৃত্যু হয়। ঠিক কি হয়েছিল তা মূল্যায়ন করার সময়ও পায়নি দলটি।

এমতাবস্থায় ২৪ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার সকালে ভেটেরিনারিয়ান ইউনিভার্সিটি জবলপুর এবং ভোপালের ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা চিতাটির ময়নাতদন্ত করবেন। তাহলেই বোঝা যাবে ঠিক কি ঘটেছিল। পাশাপাশি, মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে ওই ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি ও ফটোগ্রাফিও করা হবে। উল্লেখ্য যে, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর, আটটি চিতাকে নামিবিয়া থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়। সেগুলিকেও কুনো ন্যাশনাল পার্কে রাখা হয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর