৪০ জন স্ত্রী, একাধিক সন্তান! বিহারের গুণধর ব্যক্তির কীর্তিকলাপে চক্ষু চড়কগাছ সকলের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এক ব্যক্তির ৪০ জন স্ত্রী, তাও কিনা আমাদেরই দেশে! প্ৰতিবেদিনটির প্রথম বাক্যটি পড়ে নির্ঘাত অবাক হয়ে গেছেন আপনি? হওয়াটাই স্বাভাবিক। মূলত, বিহারের (Bihar) এক ব্যক্তির ৪০ জন স্ত্রীর নাম প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে চারিদিকেই। আমাদের দেশে যেখানে বহুবিবাহের প্রচলন নেই সেখানে এহেন খবর শুনলে চক্ষু চড়কগাছ তো হবেই!

এমতাবস্থায়, বিহারের বর্ণবিত্তিক শুমারি চলাকালীন এমন তথ্য হাতে পেয়ে ঠিক একই অবস্থা হয়েছে সরকারি আধিকারিকদেরও। মূলত, বর্ণবিত্তিক শুমারি চলাকালীন জানা গিয়েছে, সেখানে রূপচাঁদ নামে এক ব্যক্তির ৪০ জন স্ত্রী রয়েছে। আর তারপর থেকেই রূপচাঁদ উঠে এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

   

ঠিক কি জানা গিয়েছে: প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্ণভিত্তিক জনশুমারি চলাকালীন বিহারের আরওয়াল জেলার এক যৌনপল্লীতে একইসাথে ৪০ জন মহিলা তাঁদের স্বামীর নাম রূপচাঁদ বলে জানিয়েছেন। এমতাবস্থায়, জনশুমারির সাথে যুক্ত থাকা সরকারি আধিকারিকেরা ওই মহিলাদের সন্তানদের কাছ থেকে তাদের বাবার নাম জানতে চাইলে তারাও তাদের বাবা হিসেবে রূপচাঁদের নামই নেয়।

আর তারপর থেকেই আধিকারিকরা ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পেতে রীতিমতো নাজেহাল হয়ে উঠেছেন। পাশাপাশি, কে এই রূপচাঁদ বা কোথায় থাকেন তিনি এইসব প্রশ্নও ঘুরপাক খেতে থাকে। এমনকি বিষয়টির সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই ৪০ জন মহিলা ও তাঁদের সন্তানদের আধার ও প্যান কার্ডের মত নথি দেখতে চাওয়া হলে সেখানেও রূপচাঁদের নাম খুঁজে পান আধিকারিকরা।

1682583727 bihar (1)

কে এই রূপচাঁদ: উল্লেখ্য যে, ওই যৌনপল্লীর ৭ নং ওয়ার্ডে যে মহিলারা থাকেন তাঁদের কোনো স্থায়ী বসবাসের জায়গা নেই। পাশাপাশি, কেবলমাত্র যৌনবৃত্তির মাধ্যমেই দিন গুজরান করেন তাঁরা। এমতাবস্থায়, “রূপচাঁদ”-এর রহস্যভেদ করতে গিয়ে আধিকারিকরা জানতে পারেন যে, ওই যৌনপল্লীতে টাকার কোডওয়ার্ড হল রূপচাঁদ। পাশাপাশি, টাকাই দিন গুজরানের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান ওই মহিলাদের কাছে। তাই আর কোনো নাম ব্যবহার না করে টাকার নামেই বরের নাম রেখেছেন ৪০ জন মহিলা। শুধু তাই নয়, আধার ও প্যান কার্ড বানানোর সময় তাঁরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বামী হিসেবে “রূপচাঁদ” নামটিকেই বেছে নেন বলেও জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর