বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে এমন অনেকেই আছেন যারা চাকরির চেয়ে ব্যবসা (Business) করতে বেশি আগ্রহী। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এবং চাহিদার ওপর ভর করে এখন কিছু নির্বাচিত ব্যবসা বেছে নিলেই থাকে বিরাট লাভের সুযোগ! আপনিও যদি কোনো নতুন ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবেন তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আজ আমরা আপনাকে এমন একটি নতুন ব্যবসায়িক উপায় সম্পর্কে জানাতে চলেছি। যেখান থেকে আপনি সহজেই প্রতিদিন ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। পাশাপাশি, এই ব্যবসায় কাঁচামালেরও কোনো সমস্যা হবে না। এছাড়াও, বাজারে প্রতিনিয়তই চাহিদা বাড়ছে এই পণ্যের।
মূলত, এটি হল কলার চিপসের ব্যবসা। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও, উপবাসের সময়ও অনেকেই বিকল্প খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে এটিকে। আলুর চিপসের মতো এরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু, মাত্র কয়েকটি বড় কোম্পানিই এর ব্যবসা করে। এমতাবস্থায় নতুনদের জন্য এই ব্যবসা প্রথম থেকেই অত্যন্ত লাভজনক হয়ে উঠতে পারে। কলার চিপস তৈরিতে বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় এবং ব্যবহৃত কাঁচামাল হল প্রধানত কাঁচা কলা, লবণ, ভোজ্য তেল এবং অন্যান্য মশলা।
এই মেশিনগুলির প্রয়োজন হবে: কলার চিপস তৈরি করতে, প্রথমে কলা ধোয়ার জন্য একটি ট্যাঙ্কের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও, কলার খোসা ছাড়ানোর মেশিন এবং পাতলা টুকরো করে কাটার জন্য মেশিন লাগে। পিস ফ্রাইং মেশিন, স্পাইস মিক্সিং মেশিন, পাউচ প্রিন্টিং মেশিনও দরকার পড়ে এতে। আপনি সহজেই অনলাইনে এই মেশিনগুলি পেতে পারেন। তবে, ইন্ডিয়া মার্ট, আলিবাবার মতো ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলি ছাড়াও আপনি এগুলি অফলাইনেও কিনতে পারেন। এগুলি কিনতে মোট খরচ হবে প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা। পাশাপাশি, এই মেশিনগুলির জন্য, ৪,০০০ থেকে ৬,০০০ বর্গফুটের একটি ঘর বা জায়গা লাগবে।
কত খরচ হবে: ধরুন আপনি ১০০ কেজি চিপস বানাতে চান। এর জন্য আপনার প্রায় ২৪০ কেজি কাঁচা কলা লাগবে। যেটির জন্য ২,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। পাশাপাশি এগুলিকে ভাজার জন্য ২৫ থেকে ৩০ লিটার তেলের প্রয়োজন হয়। এদিকে, চিপস ফ্রায়ার মেশিন প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১০ লিটার ডিজেল খরচ করে। এমতাবস্থায়, ২০ থেকে ২২ লিটার ডিজেলের প্রয়োজন হবে। এছাড়াও, লবণ ও মশলার দাম পড়বে প্রায় ৫০০ টাকা।
কত লাভ হবে: পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৫০ কেজি পণ্যের ওপর লাভ থাকে প্রায় ৫,০০০ টাকা। এদিকে, একদিনেই ৫০ কেজি চিপস বানানো সম্ভব। আবার, ১০০ কেজি পণ্য বিক্রি হলে দৈনিক লাভ হবে প্রায় ১০,০০০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি মাসে দেড় লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহজেই আয় করা যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, খুচরো বিক্রির পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমেও খুব সহজেই এগুলি বিক্রি করা সম্ভব।