বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল আসানসোলের জামুড়িয়া থানা এলাকায় গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় গুলিবিদ্ধ বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সাউ এর মৃতদেহ। প্রকাশ্য দিবালোকে ভয়াবহ শ্যুট আউট (Shootout) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আর পাঁচটা দিনের মতো এদিন সকালেও প্রাতঃভ্রমনে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি সাংসদ। সেখান থেকেই রাজ্য সরকারকে সরাসরি আক্রমণ দিলীপ ঘোষের।
ঠিক কি বললেন দিলীপ ঘোষ? বিজেপি কর্মী রাজেন্দ্র কুমার সাউকে শ্যুট আউট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পশ্চিমবাংলায় শ্যুট আউটের ঘটনা এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে কোল বেল্টে রাজু ঝাকে শ্যুট আউট করা হল আর তারপরই ওকে করা হলো। এই যে দুর্বৃত্তদের মুক্তাঞ্চল হয়ে গিয়েছে তার বিরোধিতা করছি। আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তারা নিষ্ক্রিয়”।
শুধু তাই নয় এরপর এই প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে বঙ্গ বিজেপির অন্যতম প্রধান সৈনিক বলেন “আমি জানিনা যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে সারা গ্রাম বাংলাতে এবং বোম বন্ধুকের আওয়াজ এবং যেভাবে শ্যুট আউট শুরু হয়ে গিয়েছে তারপরে তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ সাধারণ মানুষকে মেরে দাও।”
দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, “পুলিশও বাড়িতে গিয়ে গুলি করে মেরে দিচ্ছে কিসের এই গুলি গোলা কেন চলছে? সরকার কি ভাবছে এই নিয়ে?” তার সংযোজন, “সমাজে যদি অপরাধ বাড়তে থাকে মানুষ ভয়ে চিন্তায় আছেন। সাধারণ মানুষ প্রতিকারের জন্য কি তারাও হাতিয়ার তুলে নেবেন? তারা কি রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রাণ বাঁচানোর জন্য লড়াই করবে? তাহলে পুলিশ প্রশাসন কেন আছে? তারা কি কি করবে?
প্রসঙ্গত, এদিন লাগাতার শ্যুট আউটের ঘটনা ছাড়াও কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার রহস্য মৃত্যু তারপরেই মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশের গুলি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা অন্যদিকে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের মন্তব্য প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন তিনি।