ত্রিপলের ছাউনি! বিড়ি বেঁধে চলে সংসার, চোখে জল আনবে TMC প্রধান সুপর্ণার জীবন কাহিনী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর থেকে দুর্নীতি ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য। শিক্ষক কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে কাঠমানি, বারংবার একাধিক ইস্যুতে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের। যার ফলে একেবারে কঙ্কালসায় দশা তৃণমূলের। চারিদিকে যখন দুর্নীতি আর কোটি কোটি টাকার খেলা, তারই মাঝে একেবারেই ব্যতিক্রমী তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান (Panchyat Pradhan) সুপর্ণা দাস। আজ শোনাবো তার কাহিনী।

বসিরহাট (Basirhat) ১ ব্লকের নিমদাঁড়িয়া-কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুপর্ণা দাস। মাথার ওপর ছাদ বলতে কালো ত্রিপল। সেই ত্রিপলের ঝুপড়িতেই বসবাস তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের। আবাস যোজনায় নাম এসেছিল ঠিকই কিন্তু তা বাদ দিয়েছেন নিজেই। বিড়ি বেঁধে ও স্বামীর সেলুনের টাকাতে কোনওরকমে চলে সংসার। এখন লোকমুখে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

   

প্রসঙ্গত, বহুদিন থেকেই তৃণমূলে তিনি। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫ নং সংসদ, ৭৬ নম্বর বুথ থেকে জয়ী হন। পরে সুপর্ণাদেবীকে প্রধান হিসাবে মনোনীত করে দল। স্বামী নিত্য দাসও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। স্ত্রী পঞ্চায়েতের প্রধান, তবুও ছোটখাটো হলেও একটি সেলুন চালান নিত্যবাবু। প্রায় পাঁচবছর পঞ্চায়েতে প্রধান হিসাবে দায়িত্বে থেকেও কালো ত্রিপলের ঝুপড়ি বাড়িতেই দুই সন্তানকে বসবাস তাদের।

tmc flag

প্রধান সুপর্ণা দাস বলেন, “আমি পঞ্চায়েতের প্রধান হিসাবে সাম্মানিক পায়। স্বামীর সেলুন আছে। আর আমি বিড়ি বেঁধে যে টাকা পাই তাতেই কষ্টশিষ্টে সংসার চলে। আমার নিজের বাড়ি বলতে কালো ত্রিপল। আমার আবাসে নাম এসেছিল, কিন্তু আমি তা নিই নি। আমার থেকে অনেকে এই এলাকায় গরিব রয়েছেন। তারা বাড়ি পেলে আমার ভালো লাগবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি প্রধান হয়ে স্কুলছুটদের স্কুলমুখী করেছি। মহিলাদেরও বিভিন্নভাবে স্বনির্ভর করতে ব্লক প্রশাসনের সহযোগীতায় অনেক কাজ করতে পরেছি। তবে যতদিন বাঁচব কষ্ট সত্ত্বেও মানুষের কাজ করব।”

এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শাহারুপ মণ্ডল বলেন,” প্রধান অত্যন্ত দরিদ্র। বিড়ি বেঁধে সংসার চালান। স্বামীর একটি ছোট্ট সেলুন আছে। আমরা ওনার জন্য গর্বিত।” পাশাপাশি নিজের সততা দিয়ে গ্রামবাসীদেরও মন জয় করে নিয়েছেন তৃণমূলের সুপর্ণা দাস।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর