বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দিন যত এগোচ্ছে ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনলাইনে লেনদেনের (Online Transaction) প্রবণতা। যার ফলে সামগ্রিকভাবে লেনদেনের বিষয়টিও সহজ হয়ে গিয়েছে। যদিও, এই প্রক্রিয়ায় নতুন করে মাথা চাড়া দিচ্ছে একটি গুরুতর সমস্যা। শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্যও সামনে এনেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India)।
মূলত, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট সাত মাসে প্রায় ১,৭৫০ কোটি টাকার অনলাইন পেমেন্ট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং পেমেন্ট অপারেটররা এই তথ্য জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানা গিয়েছে যে, ২০২৩ সালের মার্চে শেষ হওয়া চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৮০০ কোটি টাকারও বেশি পেমেন্ট সংক্রান্ত প্রতারণা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শুধুমাত্র মার্চ মাসেই মোট ৩৩৩ কোটি টাকার পেমেন্ট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।
এমতাবস্থায়, পেমেন্ট সেক্টরের আধিকারিকরা মনে করছেন যে, এই বিপুল অঙ্কের জালিয়াতি সিস্টেমের দুর্বলতাকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। তাই এগুলিকে চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের এপ্রিল-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কার্ড এবং ইন্টারনেট জালিয়াতির পরিমাণ ছিল মাত্র ৮৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, এই জালিয়াতির প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে, এহেন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে সব মহলেই। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ইতিমধ্যে RBI এই কারণে একটি অভিনব জালিয়াতি রিপোর্টিং মডিউল, DAKSH চালু করেছে। পাশাপাশি, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাডভান্সড সুপারভাইজরি মনিটরিং সিস্টেমও কার্যকর হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবর্ষে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে মোট ২৩৩ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। পাশাপাশি, RBI জানিয়েছে যে, সমগ্ৰ অর্থবর্ষে নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৯১৫ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এছাড়াও, ATM-এর মাধ্যমে নগদ তোলার পরিমাণ হল ৩৩.০৪ লক্ষ কোটি টাকা।