‘মেয়েকে নিয়েই ব্যবসা চালাতাম’, ED-র বয়ানে বিস্ফোরক অনুব্রত! ঘোর বিপাকে সুকন্যা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলার রহস্যভেদ করতে মরিয়া ইডি (ED)। গত বছর তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর কিছু দিন আগেই মেয়ে সুকন্যাকেও (Sukanya Mondal) হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। বাবা ও মেয়েকে একজোটে চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। এরই মধ্যে গতকাল কেষ্টর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তাতেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ইডির চার্জশিটে দাবি, জেরায় বাবা-মেয়ের বয়ানের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। জিজ্ঞাসাবাদে সুকন্যা ইডিকে জানিয়েছেন, ব্যবসার বা লেনদেনের বিষয়ে কিছুই জানতেন না তিনি। বাবা যেখানে বলতেন সেখানেই শুধুমাত্র সই করে দিতেন তিনি। আর অন্যদিকে, বাবা অনুব্রতর বয়ান নাকি একেবারেই আলাদা।

তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে ইডির দাবি, জেরায় অনুব্রত জানিয়েছেন, স্ত্রী প্রয়াত ছবি মণ্ডল তার কোনও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। নিজের সমস্ত ব্যবসা তিনি এবং মেয়ে সুকন্যা মিলেই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারির থেকে ব্যবসায়িক সাহায্য নিয়ে সামলাতেন।

আর বাবা মেয়ের এই ভিন্ন ভিন্ন বয়ানকে হাতিয়ার করেই এবার ময়দানে গোয়েন্দা সংস্থা। তবে এখানেই শেষ নয়, চার্জশিটে ইডির আরও দাবি, অনুব্রত জেরায় বলেছেন তার অর্থের লেনদেন ও আয়কর রিটার্ন জমার যাবতীয় বিষয়ে মণীশ কোঠারি সমস্তটা জানেন।

anubrata sukanya mondal

অন্যদিকে, এই বিষয়ে মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, অনুব্রতর সকল ব্যবসার বিষয়ে তার মেয়ে সুকন্যাই নির্দেশ দিতেন। অনুব্রতর এসব নিয়ে বিশেষ মাথাব্যাথা ছিলনা বলেও দাবি করেন তার হিসেব রক্ষক। সবই যেন গোলগোল ঘুরেই যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে এই তিনজনের মধ্যে সত্যিটা কে বলছে! সত্যিই কী সুকন্যা কিছু না দেখেই বাবার কথা মত সই করে দিতেন? নাকি তিনিও কোঠারির ‘গাইডেন্স’ মতো বাবার সঙ্গে ব্যবসায় হাত লাগাতেন! এখনও পর্যন্ত এই প্রশ্নের জট খুলতে পারেনি ইডি।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর