বাংলাহান্ট ডেস্ক: তাঁর ঝুলিতে একের পর এক প্রেমের ছবি। দীর্ঘ কেরিয়ারে বহু প্রথম সারির অভিনেতা অভিনেত্রীর সঙ্গে বানিয়েছেন এমন সব ছবি যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পেয়েছে ক্লাসিক তকমা। প্রেম, বিরহ, সম্পর্ককে উদযাপন করেছেন তিনি। কথা হচ্ছে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালির (Sanjay Leela Banshali) ব্যাপারে। বলিউডের প্রথম সারির এই পরিচালক ইন্ডাস্ট্রির কিছু আইকনিক জুটিরও জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে এখনো পর্যন্ত অবিবাহিত রয়ে গিয়েছেন তিনি। কেন?
বলিউডে সফল পরিচালনার কেরিয়ার
হিন্দি সিনে ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয়তম পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম সঞ্জয় লীলা বনশালি। বলিউডের বহুদিনের সদস্য তিনি। ব্ল্যাক, হাম দিল দে চুকে সনম, দেবদাস, রামলীলা, পদ্মাবত, বাজিরাও মস্তানি থেকে শুরু করে গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াবাদির মতো ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। তাঁর ছবিতে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান, সলমন খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, মাধুরীর পর রণবীর সিং, শাহিদ কাপুর, দীপিকা পাডুকোন, আলিয়া ভাটের মতো পরবর্তী প্রজন্মের অভিনেতা অভিনেত্রীরাও।
বাস্তবেও এসেছিল প্রেম
নিজের বেশিরভাগ ছবিতে বারে বারে প্রেমের উদযাপন করেছেন সঞ্জয় লীলা বনশালি। বিচ্ছেদের মধ্যে দিয়েও তিনি জিতিয়ে দিয়েছেন ভালবাসাকে। কিন্তু নিজের জীবনের প্রেম কাহিনিটাই ঠিকমতো পরিচালনা করতে পারেননি তিনি। সিনেমার মতো বাস্তবেও প্রেম এসেছিল তাঁর জীবনে। কিন্তু কাহিনিটা মিলনের বদলে বিয়োগান্তক হয়ে ওঠে। সেই কারণেই এখনো অবিবাহিত রয়ে গিয়েছেন বনশালি।
কে ছিলেন বনশালির প্রিয়তমা?
শোনা যায়, জনপ্রিয় ডান্স কোরিওগ্রাফার বৈভবী মার্চেন্টের প্রেমে এক সময় হাবুডুবু খেতেন পরিচালক। দুজনের প্রথম সাক্ষাৎও হয় সিনেমার সেটেই। ১৯৯৯ সালে বনশালির ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির ‘ঢোলি তারো ঢোল বাজো’ গানে কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে ডেবিউ করেছিলেন বৈভবী। সেটেই প্রথম আলাপ দুজনের আর সেখান থেকেই শুরু প্রেমও।
বিয়ে হওয়ার কথা ছিল দুজনের
বনশালি এবং বৈভবীর সম্পর্কের কথা ছিল সে সময়ে চর্চার হট টপিক। ২০০৭ সালে ‘সাওয়ারিয়া’ ছবির সময়ে এও শোনা গিয়েছিল যে দুজনে বাগদানও সেরে ফেলেছেন। কিন্তু সম্পর্কটা বিয়ে পর্যন্ত গড়ানোর আগেই ভেঙে যায়। এর জন্য দুজনের মধ্যে মতপার্থক্যই মূল কারণ ছিল বলে জানা যায়। এ বিষয়ে বৈভবীও মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁরা দুজনেই ভেবেছিলেন তাঁদের সম্পর্কটা পরিণতি পাবে। কিন্তু তা হয়নি। তবে এখনো তাঁদের মধ্যে ভালোই বন্ধুত্ব রয়েছে।