বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়ার জন্য আট থেকে আশি সকলেই আজও ভরসা রাখেন ভারতীয় রেলের (Indian Railways) উপরেই। একই সঙ্গে ভারতীয় রেলও যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে নিয়ে এসেছে একের পর এক নতুন পরিকল্পনা। এবার ট্রেনে যাতায়াতের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টিকিটের ক্ষেত্রেও বেশকিছু নয়া বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
বহুক্ষেত্রেই দেখা যায়, রেল কর্তৃপক্ষের তরফে বারবার করে ‘বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণকে দণ্ডনীয় অপরাধ’ হিসেবে ঘোষণা করলেও আজও অনেক যাত্রী টিকিট ছাড়াই ট্রেনে চেপে এক জায়গায় থেকে আরেক জায়গায় চলে যান। এই সকল টিকিট বিহীন যাত্রীদের ধরপাকড়ের জন্য রয়েছেন টিটিই এবং টিসি। এরপরেও যারা টিটিই এবং টিসির চোখকে ফাঁকি দিয়ে যান তাদের বিরুদ্ধেই এবার আরোও কঠোর হচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।
শুধুমাত্র বিনা টিকিটে ভ্রমণকারীদের ফাঁকিবাজি বন্ধ করাই নয়, রেলের তরফ থেকে নতুন যে প্রযুক্তি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার ফলে টিকিট চেকারদের স্বচ্ছতা নিয়েও আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না। কারণ, বহু সময়েই টিকিট পরীক্ষকদের আচরণ নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠে আসে। যাত্রীরা অনেকক্ষেত্রেই অভিযোগ জানান যে, টিটিই (Train Ticket Examiner) বা টিসিরা (Ticket Collector) টাকা নিয়ে আইনবিরুদ্ধ কাজ করছেন।
এবার, তাদের সকলের উদ্দেশ্যেই চালু হচ্ছে রেলের মোক্ষম দাওয়াই। জানা গিয়েছে, ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ এবার টিকিট চেকারদের দেবে বডি ক্যামেরা। ট্রেনে টিকিট না কেটে চড়া যাত্রীদের ধরা ছাড়াও হিংসাত্মক এবং অনিয়ম রোধ করার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই নয়া পরিকল্পনাটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু হলেও কিছুদিনের মধ্যেই এই নতুন প্রযুক্তিটি দেশের প্রতিটি কোনায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু হয়েছে সেন্ট্রাল রেলওয়েতে। সেখানে ইতিমধ্যেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ৫০ টি বডি ক্যামেরা টিকিট চেকারদের দেওয়া হয়েছে। মুম্বাই ডিভিশনের টিকিট চেকাররাও পেয়ে গিয়েছে উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন এমন বডি ক্যামেরা। এই প্রতিটি বডি ক্যামেরার দাম ৯ হাজার টাকা এবং এই ক্যামেরাগুলি প্রায় ২০ ঘন্টা ধরে ফুটেজ রেকর্ড করতে পারবে।