বাংলাহান্ট ডেস্ক : কাঠফাটা রোদ্দুরে ঘেমে নেয়ে এক্কেবারে স্নান। সেইসঙ্গে কোথাও যেতে হলেই বাসে, ট্রেনে বাদুরঝোলা ভিড়। কিচ্ছু ভালো লাগছে না। একটু নির্জনতা খুঁজছেন? ফলে, দুদিন ছুটি পেলেই বহু মানুষ পাড়ি জমাচ্ছেন দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের দিকে অবস্থিত নির্জন গ্রামগুলিতে (Offbeat Destination)।
সেক্ষেত্রে আপনার জন্য আদর্শ জায়গা হতেই পারে উত্তরবঙ্গের যোগীঘাট (Jogighat) । যোগীঘাটের নাম খুবই অচেনা। প্রথমবার এলে নিজের চোখে রিয়াংয়ের ব্যতিক্রমী চলন ও দু’পারের চোখজুড়নো প্রকৃতি দেখে আপনিও এই পাহাড়ি জনপদের প্রেমে পড়ে যেতে বাধ্য। পাখির কলতান,নদীর জলের স্রোতের শব্দ, চোখ জুড়ানো সবুজে মন ভরে যায় এই জায়গায়।
এখানকার উচ্চতা প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুটের কাছাকাছি। গরমকালেও আবহাওয়া যথেষ্ট মনোরম থাকে। তার মাঝেই কার্শিয়াংয়ের ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। আর রিয়াং নদীর রূপ এককথায় অসাধারণ। নদীর ঝিরঝির শব্দ, তার সঙ্গে পাখির গান। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আকাশের রংবদল যোগীঘাটের প্রকৃতিকে আরও বৈচিত্রময় ও উপভোগ্য বিষয় করে তুলেছে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, কমলার দেশ সিটং ও সিঙ্কোনার দেশ লাটপাঞ্চারের সব দর্শনীয় স্থান একই দিনে গাড়িতে ঘোরা সম্ভব যোগীঘাটকে কেন্দ্র করে। এছাড়াও, তুরুক, মামরিং সব কাছাকাছি গ্রাম। ছবি তোলার জন্য একেবারে আদর্শ জায়গা। একাধিক হোমস্টে রয়েছে এলাকায়। আগে থেকে বুক করে সেই হোমস্টে-তে চলে যেতে পারেন।
নিউ জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে দু’টি রাস্তায় যোগীঘাট যাওয়া যায়। ১) রোহিনী রোড, কার্শিয়াং, দিলারাম হয়ে। ২) সেবক রোড, রম্ভি, মংপু, লাবদা হয়ে। দুই রাস্তাতেই দূরত্ব শিলিগুড়ি থেকে ৭০-৭৫ কিমি। কার্শিয়াং থেকে ৩০-৩২ কিমি। এখানে তাঁবু খাটিয়ে থাকা ব্যবস্থাও রয়েছে। সবটা মিলিয়ে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।