সংখ্যালঘু ভোট ফেরাতে মরিয়া, ‘কেরালা স্টোরি’ ব্যান-এ কটাক্ষ রুদ্রনীলের! সরকারকেই সমর্থন কৌশিকের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ব্যান সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story)। বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ছবিটি রাজ্যের কোনো হলেই দেখানো যাবে না। সোমবার নবান্ন থেকে একথা ঘোষণা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যে কোনো রকম হিংসা, অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিষয়টা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের শিল্পী মহলের একাংশ।

বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায় অভিনেতা তথা বিজেপির তারকা নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। স্বরচিত প্যারোডি দিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্য সরকারকে। এই ঘটনাতেও চুপ করে থাকলেন না রুদ্রনীল। তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন শাসক দলকে।

rudranil

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘রাজ্যবাসীকে যারা অশান্তিতে ভরিয়ে রেখেছে তারা আবার নাকি অশান্তির ভয়ে “দ্য কেরালা স্টোরি” ফিল্ম বন্ধ করছে। বললেই হত, সংখ্যালঘু ভোট ফেরতের বৃথা শেষ চেষ্টা!!’ মুখ খুলেছেন অভিনেতা তথা বুদ্ধিজীবী কৌশিক সেন।

তাঁর মতামত অবশ্য রুদ্রনীলের বিপক্ষে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে কৌশিক বলেন, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তিনি সমর্থন করছেন। কারণ কেরলে এই ছবি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পক্ষে বিপক্ষে যেভাবে হিংসার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে তা খুবই ক্ষতিকারক।

kaushik sen

তিনি আরো বলেন, রাজ্যে কিছুদিন আগেই দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। উপরন্তু সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি এই ছবিটিকে কাজে লাগিয়ে পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হতে পারে। সঙ্গে কৌশিক আরো বলেন, এই কারণেই ছবিটি নিষিদ্ধ করার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে তিনি সমর্থন করেন।

তাঁর মতে, এই ধরণের ছবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৈরি হয়। কেরলের যে ছবি এখানে তুলে ধরা হয়েছে সেটা আসল নয় বলেই মত কৌশিকের। এ নিয়ে সেখানকার বিশিষ্ট মানুষরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। এ অবস্থায় রাজ্যে কোনো ঝুঁকি নেওয়ার দরকার নেই বলেই মন্তব্য করেন কৌশিক।

প্রসঙ্গত, দ্য কেরালা স্টোরি ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী আদা শর্মা। ট্রেলারে প্রথমে তাঁকে কেরল বাসী এক হিন্দু মেয়ের চরিত্রে দেখানো হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে পরিকল্পনা করে ধীরে ধীরে ভুল বুঝিয়ে ধর্মান্তকরণ করা হয় তাঁকে। শেষে তাঁর জায়গা হয় ISIS-এ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র ট্রেলার মুক্তি পেতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল স্বাভাবিকভাবেই।

সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমা হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই দাবি তুলেছিলেন ছবিটা ব্যান করে দেওয়া হোক। শেষমেষ ৩২ হাজার মেয়ের কাহিনির বদলে ট্রেলারে বলা হয়, শুধুমাত্র তিনটি মেয়ের কাহিনি। তা নিয়েও অবশ্য বিতর্ক কম হয়নি। তবুও দ্য কাশ্মীর ফাইলসের মতোই বক্স অফিসে একটা ঝড় তুলে সফর শুরু করেছে দ্য কেরালা স্টোরি।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর